সারা দেশে চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’এর মধ্যে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বহালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই রায়ের প্রতিবাদ জানান।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বাকৃবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. ইরান মিয়া বলেন, ‘ছাত্রসমাজ এক দফা এক দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন করছে। আমরা ছাত্র সমাজ কোনো ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানি না, মানব না।’
এক দফা দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবিটি হলো- সরকারি চাকরির নবম থেকে ২০তম সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক সব কোটা বাতিল করে শুধু অনগ্রসর গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ রাখতে হবে। সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
মহান জাতীয় সংসদের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মহান জাতীয় সংসদ নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কার করে এটিকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এনে বিল আকারে উপস্থাপন করে আইন প্রণয়ন করতে হবে।’
এছাড়া বাংলাদেশের ছাত্র সমাজকে দ্রুত পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথাও বলেন মো. ইরান মিয়া।
উল্লেখ্য, বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বহালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ কোটা সংস্কার নিয়ে শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম