অনলাইন ডেস্ক :
ডিজিটাল নিরাপত্তা ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্তণ আইনে করা পৃথক দুই মামলায় সাংবাদিক ড. কনক সারোয়ারের বোন নুসরাত শাহরিন রাকা জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নুসরাত শাহরিন রাকার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এএম জামিউল হক ফয়সাল এই জামিন আবেদন করেন। আইনজীবী রুকনুজ্জামান সুজা আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলেও জানান তিনি। এর আগে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও মাদক আইনের দুই মামলায় নুসরাত শাহরিন রাকার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। গত ২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। ওইদিন রাকার পক্ষে জামিন শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। ওই আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। গত ৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে রাকাকে গ্রেপ্তার করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। র্যাবের দাবি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১২ অক্টোবর নুসরাত শাহরিন রাকাকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ এই আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। গত ৬ অক্টোবর মাদক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রাকার তিনদিন এবং মাদক মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই বদরুল মিল্লাত। ওইদিন আসামিপক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে মাদক আইনের মামলায় নুসরাত শাহরিন রাকাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে আদালতকে অবহিত করেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি এবং মাদক আইনে আরেকটি মামলা করে র্যাব। র্যাব জানায়, বিদেশে অবস্থানকারী একটি চক্র দেশে থাকা ‘এজেন্টদের যোগসাজশে’ ভার্চুয়ালি ‘রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার’ চালাচ্ছে, এমন বিষয় র্যাবের গোয়েন্দা নজরে আসার পর তাদের ধরতে সক্রিয় হয় তারা। ভাইকে সাহায্য করতে এসব কর্মকা-ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাকা।
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ