অনলাইন ডেস্ক :
সুপার লিগের একটি টিকেটের লড়াইয়ে তিন দল। সবচেয়ে সহজ সমীকরণ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের, নিজেদের ম্যাচ জিতলেই অন্য কোনো দিকে তাকাতে হবে না তাদের। সেই অভিযানে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে আকবর আলির নেতৃত্বাধীন দলটি। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে হাবিবুর রহমানের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ১৫৬ রানের বড় জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ। ৩৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শাইনপুকুর থেমেছে ১৭৭ রানে। প্রথম পর্বের ১১ ম্যাচ শেষে ৫ জয় ও এক পরিত্যক্ত ম্যাচের সৌজন্যে গাজী গ্রুপের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট। ছয় নম্বরে থেকে সুপার লিগ শুরু করবে তারা। ¯্রফে ৪ পয়েন্ট পাওয়া শাইনপুকুর এখন লড়বে অবনমন এড়ানোর জন্য। সবশেষ বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের শেষ ম্যাচে ৯ বলে ৩০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে দলকে জিতিয়ে আলোড়ন তুলেছিলেন হাবিবুর। প্রিমিয়ার লিগেও বেশ কিছু ম্যাচে ঝড় তোলেন তিনি। কিন্তু ইনিংস বড় হচ্ছিল না। অবশেষে এবার পেলেন তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া। স্রেফ ৬৪ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন ডানহাতি এই ওপেনার। ৬৬ বলে ১৪ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রান করেন ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। বাউন্ডারি থেকেই আসে ৯২ রান! তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। লিগের ১১ ম্যাচে একটি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে তার সংগ্রহ ২৯০ রান। গড় (২৬.৩৬) খুব একটা ভালো না হলেও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট বিবেচনায় স্ট্রাইক রেট অসাধারণ, ১৩১.২২! হাবিবুরের তা-বের দিন সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান চার নম্বরে নামা রবি তেজাও। নব্বইয়ে পা রেখে নাবিল সামাদকে ফিরতি ক্যাচ দেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ৬ চার ও ৪ ছয়ে সাজান ৮৫ বলের ইনিংস। শেষ দিকে এসএম মেহেরব হাসান ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৪৮ এবং এনামুল হক একটি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে সাড়ে তিনশর কাছাকাছি নিয়ে যান। বল হাতে মাসুম খান টুটুল নেন ৩ উইকেট। হাসান মুরাদের শিকার ২টি। রান তাড়ায় এনামুলের তোপে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে শাইনপুকুর। শুরুর এই ধাক্কা সামলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। পঞ্চম উইকেটে ৭১ রানের জুটিতে কিছুটা লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগান অমিত হাসান ও গাজী মোহাম্মদ তাহজিবুল হাসান। কিন্তু দুজনের কেউই ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। অমিত খেলেন ৩ চারে ৫৬ বলে ৪০ রানের ইনিংস। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরা তাহজিবুলের ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৮২ বলে ৬৯ রান। ১০ ওভারে ৪১ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন এনামুল। এক মেডেনসহ ১০ ওভারে ¯্রফে ৩৪ রান দিয়ে মাহমুদুল ধরেন ৩ শিকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৫০ ওভারে ৩৩৩/৮ (মেহেদি ০, হাবিবুর ১০১, ফরহাদ ৫, রবি ৯০, মাহমুদুল ১৮, আকবর ২৬, মেহেরব ৪৭, এনামুল ২৭, হুসনা হাবি ২*, জয়নুল ০*; মাসুম ১০-১-৫৮-৩, মুরাদ ১০-০-৫৮-২, মেহেদি ৯-০-৬৫-১, নাবিল ১০-০-৬৫-১, জিসান ৬-০-৪০-০, শুভাম ৫-০-৪২-০)
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৩৭.১ ওভারে ১৭৭ (অভিষেক ৯, খালিদ ১৫, শুভাম ১২, জিসান ১৮, অমিত ৪০, তাহজিবুল ৬৯, সাজ্জাদুল ০, মাসুম ১, মেহেদি ০, মুরাদ ৬, নাবিল ০*; এনামুল ১০-০-৪১-৪, টিপু ৬.১-০-৪৪-২, মাহমুদুল ১০-১-৩৪-৩, মেহেরব ৩-০-২১-০, জয়নুল ৫-০-২৫-০, হুসনা হাবিব ৩-১-১০-১)
ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১৫৬ রানে জয়ী
ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ: হাবিবুর রহমান
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা