April 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, June 29th, 2021, 1:41 pm

হিলিতে অস্থিতিশীল চালের বাজার

ফাইল ছবি

জেলা প্রতিনিধি :

দিনাজপুরের হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা করে বেড়েছে। ধানের ঊর্ধ্বমুখী বাজারের কারণে চালের দাম বাড়ছে বলে দাবি মিলারদের। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন মিলাররা। এদিকে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। দাম নিম্নমুখী রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছে তারা। সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তা সত্ত্বেও সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে চালের দাম বেড়েছে। স্বর্ণা জাতের চাল ৪২ থেকে বেড়ে প্রতি কেজি ৪৫-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রতœা জাতের চাল ৪৪ থেকে বেড়ে ৪৬-৪৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মিনিকেট জাতের চাল ৫২ থেকে বেড়ে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে অন্যান্য জাতের চালের দামও বেড়েছে। হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা রেজাউল করিম ও ইসমাইল হোসেন বলেন, বর্তমানে চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা করে বেড়েছে। চালের দাম ক্রমেই নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। হিলি বাজারের চাল বিক্রেতা সুব্রত কু-ু ও শরিফুল ইসলাম বলেন, চালের বাজারদর অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে চাল আসা বন্ধ রয়েছে। এদিকে ধানের দামও বেশি। ফলে চালের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। মূলত এসব কারণেই চালের দাম বাড়তির দিকে বলে মিলাররা আমাদের জানিয়েছেন। তবে আমাদের ধারণা, এলসির মাধ্যমে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে অটো মিল মালিকরা দাম বাড়াচ্ছেন। অসাধু মিলাররা আগেই ৭০০-৮০০ টাকা মণদরে ধান কিনে মজুদ করে রেখেছিলেন। এখন তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেসব ধান থেকে উৎপাদিত চাল বেশি দামে বিক্রি করছেন। সরকারের উচিত এসব অবৈধ মিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। প্রশাসন যথাযথ তদারক করলে দাম কমতে পারে। ব্যবস্থা না নিলে চালের দাম আরো বাড়বে। এদিকে চালের দাম মোকামে বেশি হওয়ায় আমাদেরও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণে প্রতিদিন ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের বাকবিত-া হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে গত জানুয়ারিতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। সে সময় বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ ট্রাক করে চাল আমদানি হতো। কিন্তু লোকসানের আশঙ্কায় আমদানিকারকরা চাল আমদানি বন্ধ করে দেন। ফলে গত ৩০ এপ্রিল থেকে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আসছে না।