সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় রবিবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দিনাজপুরের হিলি স্থলববন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোন ধরনের চাল আমদানি হচ্ছে না।
বন্দরের আমদানিকারকরা জানান, সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী শনিবার (৩০ অক্টোবর) ছিল চাল আমদানির শেষ দিন। এখন পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমদানিকারকরা আর চাল আমদানি করতে পারবেন না।
এদিকে মোটা চাল প্রতি মেট্রিক টন ৩৭০ থেকে ৩৮০ ডলার এবং চিকন চাল প্রতি মেট্রিক টন ৪২৫ থেকে ৪৭০ ডলার মূল্যে চাল আমদানি করা হচ্ছিল। তবে শর্ত ছিল ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ সমস্ত চাল ভারত থেকে আমদানি শেষ করতে হবে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানীকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। কিছুদিন পর দেশের বাজারে নতুন ধান উঠবে। তাই আসছে ভরা মৌসুমে চাল আমদানি করা হলে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। একারণে সরকার কৃষকদের কথা বিবেচনায় নিয়ে একটি নিদিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল।
তিনি আরও জানান, শনিবার থেকে সেই সময় শেষ হয়েছে। যার জন্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি আপাতত বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে এলসি করা সব চাল হিলি বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে। সরকার আবার অনুমতি দিলে এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হবে।
বন্দরের আরেক আমদানিকারক রাজিব কুমার দত্ত বলেন, যখনই দেশে চালের দাম বেড়ে যায়, তখনই নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়েন। এ অবস্থায় বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিলে আমি পাঁচ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানি করি। আমরা মতো এই বন্দরের আরও ১৮ জন আমদানিকারক ৬৮ হাজার মেট্রিকটন চাল আমদানি করেন। কিন্তু সরকার চাল আমদানির জন্য সময়সীমা ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত করে। তবে তার আগেই দেশে সব চাল ঢুকেছে। এখন কোন চাল ভারতে আটকে নেই।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ কমিশনার মো.কামরুল ইসলাম বলেন,সরকার যে রেয়াতি হারে চাল আমদানির সময় দিয়েছিল সেটি শনিবার শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে সময় বাড়ানো হয়নি। ফলে এখন আমদানি বন্ধ রয়েছে।
স্থলবন্দরের বেসরকারী অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, এই বন্দরের মাধ্যমে বর্তমানে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর দুই ট্রাকে ৯২ টন চাল আমদানি হয়েছে। এর আগে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ ট্রাক করে চাল আমদানি হয়েছিল।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি