তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুরান ঢাকার হোসনি দালানে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি আরমান ওরফে মনিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং কবির হোসেনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় দেন।
একই সঙ্গে উভয় আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। তবে এই মামলায় অন্য ছয় আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার আট আসামির সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জেএমবির জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় উপপরিদর্শক (এসআই ) জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানা পুলিশ তদন্ত করে।
পরে এর তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ১০ জঙ্গিকে আসামি করে অভিযোগ পত্র অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠান। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ওই বছরের অক্টোবরে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন।
২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপর মামলাটি ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়। ওই আদালতে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিন সাক্ষ্য দেন।
এরপর ২০১৮ সালের ১৪ মে মামলাটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়। অভিযোগ পত্রে ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানার মামলা বর্তমানে শিশু আদালতে বিচারাধীন।
বাকি আসামিরা হলেন- ওমর ফারুক মানিক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, কবির হোসাইন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিক, রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব, আবু সাঈদ রাসেল ওরফে সোলায়মান ওরফে সালমান ওরফে সায়মন, আরমান ওরফে মনির ওরফে রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব ওরফে সুমন।
আসামিদের মধ্যে আরমান, রুবেল ও কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলাটিতে ৩১ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ