April 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, February 17th, 2023, 8:38 pm

১০০ বছর পর প্রাপকের ঠিকানায় গেল চিঠি

অনলাইন ডেস্ক :

চিঠি হলো একজনের পক্ষ থেকে অন্যজনের জন্য লিখিত বার্তা। আর সেই চিঠি, দূরে অবস্থান করা নিকটাত্মীয় বা আপনজনদের কাছে লিখে পাঠাতো স্বজনেরা, যা প্রাপকের কাছে পৌঁছাতে কয়েকদিন কিংবা মাসও লেগে যেতো। ঠিক তেমনি, সম্প্রতি লন্ডনে এমন একটি চিঠির বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। এক শতাব্দীরও বেশি সময় পর গন্তব্য পৌঁছেছে সেই চিঠিটি। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের পর একটি চিঠি তার গন্তব্যস্থলে এসে পৌঁছেছে। ১৯১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে চিঠিটি প্রাপকের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। এতে প্রাপকের ঠিকানা লেখা ছিল, হ্যামলেট রোড, দক্ষিণ লন্ডন। এতে আরও বলা হয়েছে, চিঠিটি লেখেছেন ক্রিস্টাবেল ম্যানেল নামের এক ব্যক্তি। তিনি তার মেয়ে চা ব্যবসায়ী হেনরি টুক ম্যানেলের উদ্দেশ্যে চিঠিটি লেখেন। সেই সময়ে ক্রিস্টাবেলের পরিবার অবকাশ যাপন করতে ইংল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে গিয়েছিল। চিঠিতে ক্রিস্টাবল লেখেন, ‘প্রচ- ঠান্ডায় আমি এখানে সবচেয়ে দুঃখী ব্যক্তি হয়ে আছি।’ চিঠিটি বর্তমানে দক্ষিণ যুক্তরাজ্যের হ্যামলেট রোডের একটি বাড়িতে আসে। ফিনলে গ্লেন নামের এক ব্যক্তি প্রথম চিঠিটি গ্রহণ করেন। প্রথমে তিনি নিজের মনে করে চিঠিটি নিলেও, এর উপরে থাকা রাজা জর্জের ডাকটিকিটের ছবি থেকে নিশ্চিত হন চিঠিটি তার নয়। গ্লেন বলেন, ‘আমরা ১৬ সাল লেখাটা লক্ষ্য করেছিলাম। ভেবেছিলাম, এটি ২০১৬ সালে লেখা। পরে চিঠির স্ট্যাম্পের দিকে তাকালে একজন রাজার ছবি দেখতে পাই। বিষয়টি আমাকে ধাক্কা দেয়। কারণ, আমার জানা মতে স্ট্যাম্পে রানির ছবি থাকার কথা।’ গ্লেন আরও বলেন, ‘কয়েক বছর আগে চিঠিটি আমাদের বাড়িতে পৌঁছায়। তবে, বেশ কয়েকদিন আগে আমি এটি হাতে পেয়েছি। আমার ধারণা, ঐতিহাসিক চিঠিটি গবেষকদের কাজে লাগবে।’ চিঠিটি যে খামে রয়েছে, সেখানে এক পেন্সের (যুক্তরাজ্যের মুদ্রা) একটি স্ট্যাম্প রয়েছে। ওই স্ট্যাম্পে কিং জর্জের ছবি রয়েছে। চিঠিটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে লেখা হয়েছিল, প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্মেরও আগে। যুক্তরাজ্যের পোস্টাল সার্ভিস অ্যাক্ট ২০০০ অনুযায়ী, অপরের নামে কোনো চিঠি পেলে সেটি খুলে দেখা আইনত অপরাধ। এর জন্য সাজা বা জরিমানা গুণতে হবে। গ্লেন বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারি এটি পুরনো, তাই আমরা এটি খোলার সাহস দেখায়।’ চিঠিটি পর্যালোচনা করতে স্থানীয় ইতিহাসবিদ স্টিফেন অক্সফোর্ডের কাছে দিয়েছেন গ্লেন। স্থানীয় একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক স্টিফেন বলেন, ‘স্থানীয় একজন ইতিহাসবিদ হিসেবে চিঠিটি পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।’