November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, November 20th, 2021, 8:02 pm

১০৪ বছর পর শান্তির ঘুম দিলেন ৯ সৈনিক

অনলাইন ডেস্ক :

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে আজ থেকে এক শতাব্দী আগে। কিন্তু খোঁজ ছিল না ৯ জন সৈনিকের, অবশেষে নয়জনকে বেলজিয়ামের টাইন কট কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। এ যেন শতাব্দী কাল পরে তাদের সৈনিক জীবনের অবসান হলো। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এই নয়জন সৈনিকের দলটি এতোদিন কাগজে পত্রে নিখোঁজ ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে তাদের সমাহিত করা হয়েছে। ডেইলি মেট্রো তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সালের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যাওয়া অনেক সৈন্যকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু আটজনের দেহাবশেষ তিন বছর আগে বেলজিয়ামের ডি র্যুটালে ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের সময় আবিষ্কৃত হয়েছিল, পরে নবমটিরও খোঁজ পাওয়া যায়। তারা সবাই পাসচেন্ডেলের যুদ্ধের সময় মারা যায়, যা জুলাই থেকে নভেম্বর ১৯১৭ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল, যা মিত্রদের জন্য একটি ব্যয়বহুল বিজয় ছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট ক্যাজুয়ালটি অ্যান্ড কমপ্যাশনেট সেন্টার (ঔঈঈঈ) টিম সৈন্যদের শনাক্ত করতে এবং তাদের পরিবারের সন্ধান করতে কাজ করছে। ‘যুদ্ধ গোয়েন্দারা’ সৈনিকদের ছোট ছোট ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র থেকে চিহ্নিত করেন সাতজন পুরুষ কারা ছিল কিন্তু বাকি দুজনকে এখনো শনাক্ত করতে পারেনি। তারা ‘মহাযুদ্ধের অজানা সৈনিক’ হিসেবে স্মরণীয় হয়েছিলেন। খোঁজে পাওয়া নয়জনকে আজ বেলজিয়ামের টাইন কট কবরস্থানে হাজার হাজার লোকের মধ্যে সমাহিত করা হয়েছে। যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তাদের অধিকাংশের বয়স সেই সময় বিশের কোটায় ছিল। দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট লেসলি ওয়ালেস অ্যাবলেট, ২০, ম্যানচেস্টারের এবং দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট এডওয়ার্ড ডগলাস ব্রুটি, ২১, দক্ষিণ লন্ডনের ডুলউইচের বাসিন্দা ছিলেন। তরুণদের মধ্যে প্যাটেলি ব্রিজ, নর্থ ইয়র্কশায়ারের ২১ বছর বয়সী ল্যান্স কর্পোরাল স্ট্যানলি ব্লেকবরো এবং কাউন্টি ডারহামের ২৮ বছর বয়সী প্রাইভেট হ্যারি মিলারও অন্তর্ভুক্ত ছিল। নামধারী দুই সৈন্যকে তাদের সেবার জন্য পুরস্কৃতও করা হয়। টাইন অ্যান্ড ওয়ার থেকে জোসেফ প্যাট্রিকসন, ২৪, ডার্লিংটন, কাউন্টি ডারহামের প্রাইভেট আর্নল্ড স্যান্ডারসন, ২০-এর সঙ্গে ১৯১৭ সালের অক্টোবরে যুদ্ধের সময় সাহসিকতার জন্য সামরিক পদক লাভ করেন। সর্বশেষ পরিচিত লাশটির নাম ছিল সার্জেন্ট থমাস ফেসবি, ৩২ উত্তর ইয়র্কশায়ারের এস্টনের বাসিন্দা ছিলেন। ৯ জন সৈন্যকে পূর্ণ সামরিক সম্মান জানিয়ে তাদের ইউনিয়নের পতাকায় সজ্জিত কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেবার নেতৃত্বদানকারী রেভারেন্ড গ্যারি ওয়াট বলেছেন : ‘আজ আমরা এই সাহসী ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানাই যারা আরো অনেকের সঙ্গে তাদের দেশের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন, সম্মানের সঙ্গে সেবা করেছিলেন এবং তাদের জাতির সেবায় জীবন দিয়েছিলেন। সার্জেন্ট থমাস ফেসবির বড়-ভাতিজা স্টিভেন উইলিস-ফেসবি পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করতে শেষ যাত্রায় শরিক হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে [সার্জেন্ট ফিসবির] থমাসের মা জানতেন না তার সন্তান কোথায় পড়েছিলেন বা তার কী হয়েছিল তা জানতেন না। আজ আমি এখানে এসেছি বলে আমি সৌভাগ্যবান। তিনি এখন আমাদের সঙ্গে ফিরে এসেছেন।’ সূত্র : ডেইলি মেট্রো