May 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, November 27th, 2023, 8:21 pm

১৪ ইসরাইলি নাগরিকের মুক্তি; ঘরে ফিরলেন আরো ৩৯ ফিলিস্তিনি

অনলাইন ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে গত রোববার সন্ধ্যায় আরো কিছু বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে উভয় পক্ষ। হামাস তাদের কাছে থাকা ১৭ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জন ইসরাইলি নারী ও শিশু, একজন রুশ-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিক এবং বাকি তিনজন থাইল্যান্ডের অধিবাসী। প্রথম দু’দিনের বন্দিদের দক্ষিণ গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে মুক্তি দেয়া হলেও গত রোববারের বন্দিদেরকে উত্তর গাজার শুজাইয়া এলাকায় মুক্তি দেয়া হয়েছে।

উত্তর গাজার ব্যাপক এলাকা ইহুদিবাদী সেনারা দখল করে নিলেও শুজাইয়া এখনও হামাসের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার পুরোটার ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে হামাস। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তে শুধুমাত্র নারী ও শিশুদের মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু গতরাতে যে রুশ-ইসরাইলি নাগরিককে মুক্তি দেয়া হয়েছে তিনি একজন যুবক। এই প্রথম কোনো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে মুক্তি দিল হামাস। প্রতিরোধ আন্দোলনটি বলেছে, গাজায় ইসরাইলি হামলার নিন্দা এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতি সম্মান জানিয়ে একজন রুশ নাগরিককে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ইহুদিবাদী ইসরাইলও তার কারাগারগুলোতে বন্দি ৩৯ জনের তৃতীয় দলকে রোববার রাতে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত এসব বন্দিকে স্বাগত জানাতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সমবেত হন। পরে রেডক্রসের বাসে করে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিরা সেখানে পৌঁছেন। গত রোববার যেসব ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন তাদের বেশিরভাগই কিশোর, বাকিরা নারী বন্দি। মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিরা রামাল্লায় অপেক্ষমাণ জনতার কাছে পৌঁছালে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।

বন্দিরা সেখানে পৌঁছার আগে এক ফিলিস্তিনি নারীর চিৎকার ধ্বনির একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে ওই নারী হামাস ও জিহাদ আন্দোলনকে উদ্দেশ করে বলেন, তোমরা যতো পারো ইসরাইলি সেনাদের অপহরণ করে তার বিনিময়ে আমাদের বন্দিদের মুক্ত করে আনো। শুধু ওই নারী নন, উপস্থিত জনতা এ সময় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোর সমর্থনে বিশেষ করে হামাস ও ফাতাহ আন্দোলনের সমর্থনে স্লোগান দেন। পশ্চিম তীর মূলত ফাতাহ আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে যদিও সেখানে হামাসের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে। পার্সটুডে