নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৪ দিন পর পদ্মায় ভাসলো পাটুরিয়া ৫নং ফেরিঘাটের কাছে পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি রো রো আমানত শাহ। বিআইডব্লিউটিএ’র সক্ষমতা না থাকায় দুই কোটি টাকা চুক্তিতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ফেরিটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান জেনুইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের সিইও বদিউল আলম জানান, উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। আগামী দুই দিন ফেরিটি তাদের পর্যবেক্ষণে থাকবে। তারপর বিআইডব্লিউটিএ হয়ে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ফেরির তলদেশে তিরিশটির মতো বড় ছিদ্র ছিল। সেগুলো রাবার ও লোহার পাত দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। তাদের প্রতিষ্ঠানের টানা নয় দিনের চেষ্টায় পদ্মায় সোজা হয়ে দাঁড়ালো রো-রো ফেরি আমানত শাহ। বিআইডব্লিউটিএ এবং উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দুর্ঘটনার পাঁচ দিন পর গত ১ নভেম্বর ফেরিটি উদ্ধারে প্রতিষ্ঠানটির একটি উইন্স বার্জ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কাত হয়ে ডুবে যাওয়া ফেরিটির নিচের অংশ নদীর তলদেশের প্রায় ছয় ফুট গভীরে অবস্থান করে। প্রতিষ্ঠানটির ডুবুরি দলের কর্মীরা যন্ত্রের মাধ্যমে তলদেশ দিয়ে ফেরিটিকে মোটা তার দিয়ে বেঁধে ফেলেন। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ফেরিটি উদ্ধারে প্রাথমিক কাজের অংশ হিসেবে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে জেনুইনের ডুবুরি দল। এদিকে উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক অজয় দেবনাথ জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানের ডিবি মেরিন স্যালভেজ-১, ডিবি মেরিন স্যালভেজ-২, ডিবি মোহনা-১, ডিবি মোহাম্মদ-১, ডিবি মোহাম্মদ-২ নামে পাঁচটি উইন্স বার্জ দিয়ে টানা নয় দিন চেষ্টার পর ডুবন্ত ফেরি উদ্ধার সম্পন্ন হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) ফজলুর রহমান বলেন, ডুবে থাকা ফেরিটি শতভাগ উদ্ধার হয়েছে। এখন উদ্ধারকর্মী দিয়ে ফেরিটির ভেতরে থাকা কাদামাটি, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থপক মো. জিল্লুর রহমান জানায়, বিআইডব্লিউটিএর আমাদের হাতে ফেরিটি বুঝিয়ে দেয়ার পর ফেরিটি চলবে কিনা তার সিদ্ধান্ত তদন্ত কমিটি নিবে। তাছাড়া এই মুহুর্তে ফেরিটি চালানো সম্ভব না। ডুবে থাকা ফেরিটির সবগুলো ইঞ্জিনসহ ফেরির অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো ঠিক করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত ২৭ অক্টোবর সকালে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়া আসার পর ১৪টি যানবাহন নিয়ে পাঁচ নম্বর ঘাটে কাত হয়ে ডুবে যায় ফেরি আমানত শাহ। পরে ফেরির ভেতরে আটকে থাকা যান উদ্ধারে জাহাজ রুস্তম ও হামজাকে আনা হয়। এ ছাড়া উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের আসার কথা থাকলেও তাদের সক্ষমতা না থাকায় আসেনি। পরে চট্টগ্রামের বেসরকারি সংস্থা জেনুইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডকে দুই কোটি টাকা চুক্তিতে ফেরিটি উদ্ধার কাজে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম