দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টির মধ্যে ১৫০টি আসনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংগ্রহে আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।
সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছে যে প্রকল্পের বিবরণ শিগগিরই অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।
এর আগে কমিশনের বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সম্প্রতি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
ইসি আলমগীর বলেন, কমিশন এর আগে আগামী সাধারণ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলেও বর্তমানে আমাদের কাছে দেড় লাখ মেশিন আছে যা সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ব্যবহার করা যাবে।
তাই, নতুন ইভিএম সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আগামী সাধারণ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে ২৩ আগস্ট ইসি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০টি আসনে প্রচলিত ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। সাধারণ নির্বাচনটি আগামী বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
অন্যদিকে ইসির জুলাই মাসের ধারাবাহিক সংলাপে বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো যোগ দেয়নি এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের তীব্র বিরোধীতা করছে তারা।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের দাবি তাদের।
এর আগে, কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনার জন্য নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল; এর মধ্যে ২৮টি রাজনৈতিক দল কমিশনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে এবং বিএনপিসহ ১১টি দল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২