March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, November 1st, 2021, 7:05 pm

১৫ বছরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

খলিলুর রহমান ফয়সাল:

আমি ২০০৮ সালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। কৃষি অনুষদের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। সুতরাং জন্মলগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেড়ে উঠা আমার চোখের সামনেই। আমাদের বিদ্যালয়টি শহরের এক কোণায়। ৫০ একরের উঁচু নিচু ভুমিতে অবস্থিত জায়গাটার নাম আলুরতল, টিলাগড়। কোন কিছু কিনতে হলে, ভালো কোন রেস্টুরেন্টে নাস্তা করতে হলেও আমাদের যেতে হতো শহরের প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা কিংবা আম্বরখানায়। যানবহন বলতে সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ আমলের পুরাতন একটি বাস। বেশিরভাগসময় আমি রিকশাতেই যাতায়াত করতাম। তো শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় রিকশাওয়ালাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ে যেতে বললে তারা পার্শ্ববর্তী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলতো। বিষয়টা আমার খুব আত্মসম্মানে লাগতো। কারণ শাবিপ্রবি পুরাতন হলেও সিলেটে যে আরেকটা পাবলিক ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় আছে সেদিকে শহরবাসীর ভ্রুক্ষেপ ছিলো না। চিন্তা করলাম লিখালিখি শুরু করবো। সিনিয়র জাফর ভাই, ফিরন ভাই, রাশেদ ভাই আমাকে খুব উৎসাহিত করলেন। দৈনিক প্রথম আলোর সুমনকুমার দাশের সাথে পরিচয় হলো। উনার সহযোগিতার কথা খুব মনে থাকবে। আরেকটু সিনিয়র হবার পর সাংবাদিক সমিতির হাল ধরলাম। জুনিয়রদের ধরে ধরে জোড় করে লেখালেখির জগতে নিয়ে আসতাম। আর সংগঠন করতাম। বিনোদন সংঘ ও কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘের পরিশ্রমী কর্মী ছিলাম। নিজেও কয়েকটি সংগঠন তৈরি করেছি। তার মধ্যে মৃত্তিকা ও কাকতাড়–য়া সিলেটসহ সারা বাংলাদেশে জনপ্রিয়। অবশ্য প্রথমদিকে ছোট্ট ক্যাম্পাসের বড় কোন খবর থাকতো না। একসময় খবর তৈরি করার জন্য নিজেরাই অনুষ্ঠান তৈরি করি।

অগ্রহায়নের প্রথম দিন নবান্ন উৎসব, পহেলা বৈশাখ এমনকি মেয়েদের বেনী করে আসার ঘটনাকেও খবর হিসেবে বিভিন্ন পত্রিকায় পাঠিয়েছি। দৈনিক ইত্তেফাকে বহুবছর বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছি। প্রথম প্রথম অতো ইন্টারনেট সুবিধা ছিলো না। সাদা কাগজে লিখে খবরগুলো পত্রিকা অফিসে দিয়ে আসার ঘটনাও ঘটেছে। সেই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আজ ২রা নভেম্বর ১৫ বছরে পদার্পন করলো। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা যেমন এখানে পড়তে এসেছে, এখান থেকে পাশ করে দক্ষ গ্রাজুয়েটরা সারা দেশে ছড়িয়েও পড়েছে।

সিলেটের লালচে মাটির গুণগতমান দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ভিন্নতর। আবার বৃহত্তর সিলেটে রয়েছে হাজার হাজার একর অনাবাদি উঁচু-নিচু পাহাড়ী অসমতল ভূমি। আছে হাওর নামের বিস্তীর্ণ জলাশয়। অপার সম্ভাবনাময় এসব প্রাকৃতিক সম্পদসমূহকে গবেষণার মাধ্যমে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো ক্যাম্পাসটি। ৭টি অনুষদ ও ৪৭ টি বিভাগের মাধ্যমে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশে একটা মানুষও না খেয়ে নেই। দাম যেমন তেমন এখন আর দূর্ভিক্ষ হয় না। দেশী মাছ হারিয়ে গেলেও হাইব্রিড মাছ পাওয়া যাচ্ছে দেদারসে। মেহমান এলে সাধের পালা মুরগী উঠোন থেকে ধরে এনে জবাই করতে হয় না। অল্প টাকায় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে পোল্ট্রি। যে ক্ষেতে আগে ১ টন ধান ফলন হতো, এখন সেখানে ফলছে ৫-৬ টন। আর এই সবই সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীদের কারণে। আর প্রতি বছর এরকম বহু কৃষি বিজ্ঞানী তৈরি করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিসিএস পরীক্ষাসহ দেশে বিদেশে আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের ছড়াছড়ি।

সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনায় হাওরে জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে এখানকার গবেষকরা। হাওরে বছরে ৭/৮ মাস চারিদিকে থৈথৈ পানি দিয়ে ভরা। শুধুমাত্র বসতভিটার উঁচু জায়গাটুকুই দ্বীপের মত ভাসমান। সিকৃবির প্রচেষ্টায় সেখানে ফিরে এসেছে সচ্ছলতা। বোরো ফসল নির্ভর হাওরাঞ্চলে এক সময় শীতকালেও মাঠের পর মাঠ পতিত থাকত। ২০১৫ সাল থেকে সুনামগঞ্জের দেকার হাওর সহ বিভিন্ন হাওরের প্রান্তিক কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে সিকৃবি নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে। সিকৃবির গবেষকদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে লাগসই ধান চাষ, সবজি চাষ, মাছ চাষ, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগী পালন, কবুতর পালন সহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে সিলেটের রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ও গুরকচি নদীতে মাছ রক্ষায় সাফল্য দেখিয়েছে সিকৃবি। মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তুলে মৎস্যজীবীদের সম্পৃক্ত করায় সাফল্য এসেছে। শুধু দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা নয়, মাছের সঙ্গে সংশ্নিষ্টদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে টেকসই আয়ের পথ দেখানো হচ্ছে। মাছের আয় থেকে ইতোমধ্যে সেলাই মেশিন, ছাগল ও ভেড়াসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের মধ্যে। সিকৃবির মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের জলজসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রক্ষায় প্রকল্প শুরু হয়। প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন সিকৃবির মাৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. ফয়সাল আহমদ। তাদের তত্ত্বাবধানে সিলেটের সারি-গোয়াইননদী ও তৎসংলগ্ন হাওর ও বিলে দেশীয় মাছের বংশ বৃদ্ধির জন্য গবেষণা কার্যক্রম চলছে। গবেষণার অংশ হিসেবে রাতারগুল ও গুরকচি নদীতে প্রায় ৩ একর জায়গায় অভয়াশ্রম স্থাপন করা হয়। অভয়াশ্রম তৈরি করার ফলে চিতল, ঘোড়া, খারি, নানিদ প্রভৃতি বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ এখন সেখানে মিলছে। মাছের মড়ক রোধ করতে সিকৃবিতেই বায়োফিল্ম নামে নতুন ভ্যাক্সিন উদ্ভাবিত হয়েছে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন এই ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করেছেন। এছাড়াও মাছ নিয়ে আরো কয়েকটি গবেষণা হয়েছে সিকৃবিতে। ডিএনএ বারকোডিং এর মাধ্যমে জেনেটিক পদ্ধতিতে একই প্রজাতির মাছ সনাক্তের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চাষাবাদ পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন আরেকটি গবেষক দল। মৎস্য জীববিদ্যা ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের ড. শামীমা নাসরীনের নেতৃত্বে এই গবেষণাটি সম্পন্ন হয়। এছাড়া “সয়াগ্রোথ বোস্টার” নামক প্রোটিন পরিপূরকের পেটেন্ট পেয়েছেন মাৎসচাষ বিভাগের ড. মোহাম্মদ এনামুল কবির। যা মৎস্য, ডেয়রি ও পোল্ট্রি শিল্পে প্রোটিনের পরিপূরক হিসেবে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামুদ্রিক কুয়াশা (সি-ফগ) নির্ধারণ ও এর স্থানান্তর প্রক্রিয়া নির্ণয়ের মাধ্যমে সামুদ্রিক দূর্ঘটনা রোধ করার আরেকটি কৌশল আবিষ্কার করেছেন জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. আহমেদ হারুন-আল-রশীদ। তিনি ইতোমধ্যে এই প্রযুক্তির প্যাটেন্ট অর্জন করেছেন। দেশে প্রথমবারের মত স্বয়ংক্রিয় সেচ যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে ক্যাম্পাসের একদল গবেষক। এর ফলে পানির অপচয় রোধের পাশাপাশি সময়মত ফলবে সোনার ফসল। আধুনিক কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এর মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থাকে সহজ করে আবাদি জমিতে সঠিক মাত্রায় আর্দ্রতা বজায় রাখা সম্ভব নতুন এই সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে মাটির আর্দ্রতা এবং পানির উচ্চতা সহজে নির্ণয় করে মাঠে সেচ দেয়া যাবে বলে জানান গবেষকরা । কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন এবং কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, সহকারী প্রফেসর মোঃ জানিবুল আলম সোয়েব বিভাগের দুই শিক্ষার্থী মোঃ রাইসুল ইসলাম রাব্বী ও মোঃ নুরুল আজমীর এই প্রটোটাইপ ডিভাইসটি তৈরি করেছেন। ভেটেরিনারি, এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদে মোট ৬টি বিভাগে ৬টি আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন হয়েছে, আরো ২টি ল্যাবরেটরি উদ্বোধনের অপেক্ষায়। কৃষি অনুষদ অনুষদেও কিছু ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে মাছের রোগ নির্নয়ের জন্য অত্যাধুনিক একটি ল্যাবরেটরি উদ্বোধন হয়। ‘ফিশ ডিজিজ ডায়াগনোসিস ও ফার্মাকোলজি ল্যাব’ নামে ল্যাবরেটরিটি সিকৃবির গবেষণায় নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। সম্প্রতি অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে ( যঃঃঢ়ং://িি.িধফংপরবহঃরভরপরহফবী.পড়স/ ) মোট ১২টি বিষয়ের উপর বিশ্বসেরা গবেষকদের নাম প্রকাশিত হয়। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ জন গবেষক বিশ্বসেরা গবেষকদের সেই তালিকায় ঠাঁই পেলেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিঃক্যাম্পাস হিসেবে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ফেঞ্চুগঞ্জ-তামাবিল বাইপাস সড়ক সংলগ্ন খাদিম নগর এলাকায় ১২.৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। মাত্র ৫০ একর জমি নিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যাত্রা করেছিল যার বেশির ভাগ টিলা ও জঙ্গলবেষ্টিত। নতুন জায়গাটি প্রাপ্তির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সিকৃবির বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্বে সিলেট সরকারী ভেটেরিনারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কোন শিক্ষক ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করলেন। ক্যাম্পাস নিয়ে তাঁর আবেগও তাই একটু বেশি। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বাণীতে তিনি বলেন, “বছর ঘুরে আবারো আমাদের মাঝে এই শুভদিনটি ফিরে এলো। কৃষি শিক্ষার জ্ঞানতীর্থ হয়ে উঠা এবং কৃষি ও গ্রামীন অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা ও গবেষণায় আধুনিক কৌশল ও দক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, মেধা ও মননে অনন্য করার লক্ষ্য নিয়ে দেশের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত পূণ্যভূমি সিলেটে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।” ২০ বছরের একটি পরিকল্পনা তিনি হাতে নিয়েছেন। যার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সকলের সহযোগিতা পেলে সিকৃবিকে সেন্টার অব এক্সসিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”

করোনা মহামারীর প্রকোপ এখন কিছুটা কমলেও একেবারে শেষ হয়ে যায় নি। প্রায় দুই বছর ধরে আমরা একটি দুঃসহ সময় পার করেছি। সরকারী সিদ্ধান্তে সরাসরি ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণ বন্ধ করলেও এই মহামারীর সময়ে সিকৃবির অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসসিক কাজও থেমে ছিলো না। বর্তমানে হল খোলা রয়েছে এবং ক্লাসরুমেও শিক্ষা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। সকলের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে গতিশীল করেছি। ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। আমি যখন ছাত্র ছিলাম, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আসলে খুব হৈ হুল্লুর করে নানারকম অনুষ্ঠান করতাম। এবছর করোনার কারণে অতো জাকজমক নেই। তবু ক্যাম্পাসে যখন বন্ধুদের নিয়ে দল বেঁধে শিক্ষার্থীরা হেঁটে যায়, আমার ক্যাম্পাস জীবনের সোনালী সময়গুলোর কথা মনে পড়ে। নতুনদের মুখের হাসিতে নিজের চেহারা খুঁজে পাই। একখন্ড এই জমিটি নিয়ে আমার আবেগের শেষ নেই। ভালো থাকুক টিলাঘেরা এই সবুজ গালিচা।

(লেখক খলিলুর রহমান ফয়সাল, উপ-পরিচালক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী [১ম ব্যাচ, কৃষি অনুষদ]
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যলয় )