অনলাইন ডেস্ক :
দেশের শিশুদের কাছে খুবই প্রিয় নাম ‘সিসিমপুর’। বিগত প্রায় ১৮ বছর ধরে ৩ থেকে ৮ বছরের শিশুদের জন্য তৈরি হয়ে আসছে এই টেলিভিশন অনুষ্ঠান। যা আনন্দ আর বিনোদনের মাধ্যমে শিশুদের শেখায়। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি বাংলাদেশের সহায়তায় ২০০৫ সালের পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে সিসিমপুর। যা বিশ্বখ্যাত অনুষ্ঠান ‘সিসেমি স্ট্রিট’র বাংলাদেশি রূপ। এ পর্যন্ত দেশের একাধিক টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে সিসিমপুরের প্রায় সাত শতাধিক পর্ব। বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিভিশন, দুরন্ত টিভি এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রতিদিন প্রচারিত হয় সিসিমপুর। টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণের পাশাপাশি শিশুদের জন্য আরও অনেক কাজ করে সিসিমপুর। সিসিমপুর প্রকাশ করে মজার মজার ঝলমলে রঙিন সব বই। অনেক স্কুলেই আছে সিসিমপুর বুক কর্নার। সিসিমপুরের টুকটুকি, হালুম, শিকু আর ইকরি শিশুদের আনন্দ দিতে বিভিন্ন স্কুল এবং আয়োজনে যায়। যাকে বলা হয় ‘ওয়াক এরাউন্ড’ প্রোগ্রাম। এর বাইরে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং শিশুদের ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করে সিসিমুপর। শিশুদের আরও কাছে পৌঁছাতে সিসিমপুর তৈরি করেছে ‘সিসিমপুর অ্যাপ’। সিসিমপুর অ্যাপে আছে মজার মজার ভিডিও, গল্পের বই, পাজেলসহ নানা কিছু। গুগল প্লে-স্টোর থেকে সহজেই ডাউনলোড করা যায় সিসিমপুর অ্যাপ। ২০২২ সালে সিসিমপুর পেল শিশুদের কনটেন্ট নির্মাণের জন্য শ্রেষ্ঠ পুরস্কার হিসেবে খ্যাত কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড। নেটফ্লিক্স, কার্টুন নেটওয়ার্ক, বিবিসি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স অ্যানিমেশন, ফক্স মিডিয়া, আমাজন, নিকোলওডিয়েন, বাইজুস, পিবিএস কিডস, ড্রিম ওয়ার্কস এনিমেশন’র মতো বিশ্বখ্যাত সব শিশুতোষ অনুষ্ঠান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে পেছনে ফেলে সিসিমপুর এই পুরস্কার জয় করে।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ