২০২২ সালে রেকর্ড পাঁচ হাজার ৮৯১ বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। বর্তমানে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছে একটি ‘জনপ্রিয় ও পছন্দের’ গন্তব্য।
বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসের মতে, গত বছর তারা এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ‘নিম্ন ও মাঝারি’ দক্ষ কর্মী নিয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর বিদেশি ইপিএস কর্মীদের ভর্তি স্থগিত করার পর, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দ. কোরিয়ার সরকার আবার কর্মী নেয়া শুরু করে।
দক্ষিণ কোরিয়া ২০০৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ইপিএস এর মাধ্যমে ২৮ হাজার ৬৯৭ জন বাংলাদেশি কর্মী নিয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে এই বছর প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ কর্মী নেবে দ. কোরিয়া।
বাংলাদেশে কোরিয়ান মিশন সোমবার জানিয়েছে, পূর্ব এশিয়ার দেশটি বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য, কারণ সেখানে তারা মাসে ন্যূনতম এক হাজার ৪২০ ডলার উপার্জন করতে পারে। যা দক্ষিণ কোরিয়ার আইনত গ্যারান্টিযুক্ত ন্যূনতম মজুরি।
এতে আরও বলা হয়েছে, ওভারটাইম পেমেন্ট মিলে মাসিক বেতন দুই থেকে তিন হাজার মার্কিন ডলারের বেশি হতে পারে।
বাংলাদেশে কোরিয়ান মিশন আরও জানায়, ‘এছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়া বিদেশি কর্মীদের দুর্ঘটনা বীমাসহ চার ধরণের সামাজিক নিরাপত্তা বীমা গ্রহণে উৎসাহিত করে।’
মিশন জানায়, ২০০৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রায় ৩২০ জন কর্মী বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন, যারা প্রস্থান (দেশে ফিরে আসা) গ্যারান্টি বীমা এবং বিমান ভাড়ার বীমার টাকা না নিয়েই বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। যা ব্যক্তিভেদে ৩০ হাজার টাকা থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কোরিয়ান সরকার অবশ্য ঢাকায় ইপিএস সেন্টারের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসা বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবস্থান ও যোগাযোগের তথ্য শনাক্ত করতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের অর্থ ফেরত দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে।
যেসব কর্মী বীমার টাকা পাবেন তার মৃত্যু হলে, উপযুক্ত নথি উপস্থাপন করলে তার স্ত্রী, সন্তান বা বাবা-মা ওই টাকা পেতে পারেন।
এ বছরের প্রবাসী শ্রমিকদের প্রথম ব্যাচ আজ রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোরিয়ান এয়ার কোম্পানির চার্টার্ড ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা হবে।
প্রথম ব্যাচে ৯২ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের মধ্যে ৬৯ জন নতুন এবং ২৩ জন পুনরায় ভর্তি হয়েছেন।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি