November 21, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, September 26th, 2024, 9:51 pm

২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুতে পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুতেই বাংলাদেশে পণ্য আমদানির পরিমাণে উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে পণ্য আমদানির পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সোয়া ৬ শতাংশ কমে ১ কোটি ৯৮ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২ কোটি ১১ লাখ টন।

অথচ, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে আমদানি আরও কমেছে। ২০২৩ সালের আগস্টে ৬২০ কোটি ডলারের সমমূল্যের ১ কোটি ১৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়েছিল। এ বছর একই সময়ে এই পরিমাণ কমে ৬১২ কোটি ডলারের সমমূল্যের প্রায় ৯৩ লাখ টনে পৌঁছেছে, যা ১৮ শতাংশ হ্রাস নির্দেশ করে।

আমদানিকারকদের মতে, বর্তমানে পণ্য আমদানি কমানোর প্রবণতা সাময়িক। ঋণপত্র খোলার সময়, বিশেষ করে ভারত ছাড়া অন্য দেশ থেকে পণ্য আনতে ৩০-৬০ দিন সময় লাগছে। ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আনতে ঋণপত্র খোলার পর ১-২ সপ্তাহের মধ্যে পণ্য হাতে পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যাপক হ্রাস ঘটেছে। গত দেড় মাসে এই বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন কমেছে, এবং রপ্তানি কমেছে ১০ হাজার টন। রাজস্ব আদায়ও এই পতনের ফলে কমেছে।

সরকারি ঘোষণায় সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাকার কথা থাকলেও, বর্তমানে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে। বন্দরটির উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) জানান, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্য সাধারণত রাত ১১টা পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়, প্রয়োজন হলে রাত ১২টা পর্যন্ত।

পণ্য আমদানি হ্রাসের মধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামালের আমদানি বেড়েছে। গত বছরের জুলাই-অগাস্টে কাঁচামাল আমদানি হয়েছিল সাড়ে ৮ লাখ টন, যা চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৯ লাখ টনে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কাঁচামাল আমদানি বৃদ্ধি শিল্প খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমদানিকারকরা সতর্কতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।