বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পটির মাধ্যমে ওই অঞ্চলের ছয় লাখেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জলবায়ু-সহনশীল বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ (এফসিডিআই) ব্যবস্থা চালু করবে এবং লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ হ্রাস করবে।
এটি এফসিডিআই অবকাঠামো শক্তিশালী করতে এবং চারটি উপ-অববাহিকায় নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রাকৃতিকভাবে সমাধান করবে।
প্রকল্পটি সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, পানি ব্যবস্থাপনা সংস্থার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অন্যান্য কমিউনিটি অবকাঠামো নির্মাণ করবে।
প্রকল্পটি স্থানীয় মালিকানা বৃদ্ধি এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে অংশগ্রহণমূলক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করবে।
এটি সুবিধাগুলোর নকশা, নির্মাণ এবং পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে পানি ব্যবস্থাপনা গোষ্ঠীগুলোর ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে এবং যৌথ ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।
নারী সদস্যপদকে লক্ষ্য করে চারটি উপপ্রকল্প এলাকায় পানি ব্যবস্থাপনা সংগঠন গঠনে সহায়তা বাড়ানো হবে।
প্রকল্পটি পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় উন্নয়ন, পানি ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম তত্ত্বাবধান এবং এর কার্যক্রমে জলবায়ু অভিযোজন সমন্বিত করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকের ভিত্তিতে জলবায়ু ঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বাংলাদেশ চরম আবহাওয়া এবং ধীরগতির জলবায়ু ঘটনাগুলোর ক্রমবর্ধমান পুনরাবৃত্তি এবং তীব্রতার মুখোমুখি হচ্ছে।
কার্যকর অভিযোজন ব্যবস্থা ছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনশীলতা এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলো, বিশেষত নারীরা, যারা তাদের জীবিকার জন্য জলবায়ু সংবেদনশীল কৃষি অনুশীলন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভর করে তাদের প্রভাবিত করে এমন চরম ঘটনাগুলোর কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটি কৃষি মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশ হারাতে পারে।
এডিবির সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট পুষ্কর শ্রীভাস্তভা বলেন, প্রকল্পটি এডিবির অর্থায়নে সাউথওয়েস্ট এরিয়া ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্সেস প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় অর্জিত অর্জনকে টেকসই করবে, যা কৃষি উৎপাদন ও কমিউনিটি অবকাঠামোর উন্নতি এবং গ্রামীণ পরিবারের আয় বৃদ্ধি করেছে।
এডিবির এই অতিরিক্ত সহায়তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা আরও জোরদার এবং আয় বৃদ্ধি ও টেকসই জীবিকার ব্যবস্থা করবে। বিশেষ করে নারী ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য হ্রাস করবে এই সহায়তাটি।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি