April 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, January 21st, 2022, 8:07 pm

২ লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে দু প্লেসি

অনলাইন ডেস্ক :

টেস্ট দল থেকে অবসর নেওয়ার পর সুযোগ মিলছে না সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও। উপেক্ষার এই সময় ফাফ দু প্লেসি কাজে লাগাচ্ছেন বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের টি-টোয়েন্টি লিগে তিনি নিয়মিত মুখ। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, পাকিস্তান সুপার লিগেও খেলেছেন। কদিন আগে নিয়েছেন টি-টেন ক্রিকেটের স্বাদ। এবার দুটি লক্ষ্য নিয়ে এসেছেন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ- বিপিএলে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে শিরোপা জেতাতে চান এই দক্ষিণ আফ্রিকান, সঙ্গে নিজে থাকতে চান আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায়। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে শনিবারের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে কুমিল্লার অভিযান। এর আগের দিন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দু প্লেসি জানালেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই খেলতে এসেছেন বিপিএলে। “কয়েক বছর ধরেই এখানে আসার চেষ্টা করছিলাম। শেষবার দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলায় ছাড়পত্র পাইনি। শেষ দুই বছর কোভিড ছিল। বাংলাদেশে খেলাটা আমি সব সময় উপভোগ করি। বিশ্বজুড়ে যত বেশি সম্ভব টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলতে চাই।” “প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই শিরোপা জেতা। দ্বিতীয় লক্ষ্য প্রতিটি ম্যাচে যতটা সম্ভব অবদান রাখা। আর টুর্নামেন্ট শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মাঝে থাকতে চাই।” আইপিএলের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি চেন্নাই সুপার কিংসের নিয়মিত খেলোয়াড়দের একজন দু প্লেসি। সবশেষ আসরেও ৬৩৩ রান করে ছিলেন দল ও টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। চেন্নাই সতীর্থ রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেয়ে ¯্রফে ২ রানে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। রানের এই ধারাবাহিকতা দু প্লেসি টেনে আনতে চান বিপিএলেও। সেই লক্ষ্েয যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নিতে চান কন্ডিশনের সঙ্গে। “আমার মনে হয়, এখানে কন্ডিশন ভিন্ন হবে। সকালে উইকেট বেশ ভেজা থাকে। ম্যাচের উইকেট হয়ত ভিন্ন হবে, কারণ খেলা তো আর সকালে শুরু হবে না। টুর্নামেন্ট শুরুর তিন দিন আগে আসতে পেরে ভালো হয়েছে, আবার বাংলাদেশে খেলার জন্য মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে।” “আমি এখানে ভালো করতে এসেছি। কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়া খুব জরুরি। প্রতিটি দেশে ভিন্ন ধরনের পিচের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকে। অবশ্যই ঢাকার উইকেট নিচু ও মন্থর হতে পারে। চট্টগ্রামে সম্ভবত ভালো উইকেট মিলতে পারে।” ৩৭ বছর বয়সী দু প্লেসি ২৬৬ টি-টোয়েন্টিতে রান করেছেন প্রায় ৭ হাজার। অভিজ্ঞতা থেকে জানেন, টুর্নামেন্ট এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গেই পাওয়া যায় নিজেদের সেরা দল। তাড়াহুড়া না করে সেদিকেই তাকিয়ে আছেন তিনি। “ক্রিকেট কাগজে-কলমে খেলা হয় না, এটা বোঝার মতো যথেষ্ট ম্যাচ আমি খেলেছি। এখানে অনেক শক্তিশালী দল ও খেলোয়াড় আছে। নিজেদের সম্ভাবনা অনুযায়ী আমরা খেলতে পারছি, এটা নিশ্চিত করতে হবে। যদি তা করতে পারি তাহলে আমরা টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকব। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে দলগুলো ভারাসাম্য পাওয়ার, সঠিক একাদশ গড়ার চেষ্টায় থাকে। টুর্নামেন্ট এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে আমরা নিজেদের সেরা দলটা পেয়ে যাব।” কেবল বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা নিতে আসেননি দু প্লেসি, নিজের বিস্তর অভিজ্ঞতার ভা-ার থেকে কিছুটা তরুণদের দিতেও চান তিনি। “সবাই সফল ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে চায়। আমাদের ক্রিকেট খেলার একটা বড় কারণ, ট্রফি জেতা। এই অভিজ্ঞতা আমার আছে, ব্যাটিং ও নেতৃত্বের দিক থেকে আমি ছেলেদের সঙ্গে কিছু অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারব। যতটা পারি ওদের সহায়তা করার চেষ্টা করব।” মাঠের ক্রিকেট শুরুর আগে যতটা সম্ভব ছেলেদের সঙ্গে মিশতে চাচ্ছেন দু প্লেসি। তাদের সঙ্গে চেখে দেখেছেন স্থানীয় খাবারও। “এখনও কোনো বাংলা শব্দ শিখে উঠতে পারিনি। এই মুহূর্তে আমি কিছু স্থানীয় খাবারে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।শুক্রবার চমৎকার বিরিয়ানি খেয়েছি। দেখেছি এখানে মরিচ ও লেবু দিয়ে পেয়ারা খায়, এটা চমৎকার।”