April 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, October 20th, 2022, 9:21 pm

৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নর্থ সাউথের ৫ ট্রাস্টির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ট্রাস্টিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কম দামে কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ উদ্দিন পাটোয়ারী চার্জশিট দাখিল করেন। দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দ-বিধি ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক এবং ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য এম একাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী। এছাড়াও রয়েছেন আশালয় হাউজিংয়ের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, পরিচালক আনোয়ারা বেগম ও সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান। অভিযোগপত্রে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী ওই বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে বলা হয়, ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সরকারের সুপারিশ ও অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের কতিপয় সদস্যের সম্মতির মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমি ক্রয় করে। ওই জামির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আত্মসাৎ করা হয়। অভিযুক্তরা কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরে বিক্রেতার নিকট থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন। এরপর আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরে ওই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।