করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৩০ দিনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। বুধবার তিনি জনস্বার্থে এই আবেদন করেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, করোনা শুরু হলে তখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাই শিক্ষার্থীরা কম আক্রান্ত হয়েছে। এখন আবার করোনা বাড়ছে। তবে এখন সব খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুল, মাদরাসা, কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করতে হয়। এতে অনেকেই হয়তো করোনাভাইরাস নিয়ে বাসায় ফিরবে। যার ফলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩০ দিনের জন্য বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আবেদনটি হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। এর আগে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ তিনি এ সংক্রান্ত একটি রিট করেছিলেন বলেও জানান।
ওই রিটে সব বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্তে এবং সব বন্দরের প্রবেশমুখে মনিটরিংয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছিল।
এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশনা, সব বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্তে এবং সব বন্দরের প্রবেশমুখে মনিটরিংয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বতীকালীন নির্দেশনা জারির আবেদন জানানো হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ওই রিটে বিবাদী করা হয়।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ১৯ মার্চ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশফেরতদের বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখতে ও স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করতে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও পররাষ্ট্র সচিবের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বাস্তবায়ন প্রতিবেদন এখনও পাননি। তাই সেই রিটটি আজ আদালতে উপস্থাপন করেছেন।
আদালত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য রেখেছেন। এছাড়া ওই রিটের সম্পূরক হিসেবে অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩০ দিনের জন্য বন্ধ চেয়ে আবেদন করেছেন বলেও জানান ইউনুছ আলী আকন্দ।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে বুধবার থেকে ভার্চুয়ালি চলছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি শুরু হয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম