করোনার কারণে দুই বছরের মলীন উদযাপনের পর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির পার্বত্য জেলায় বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ উৎসব ‘বৈসাবি’।
‘বৈসাবি’ শব্দটি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈশুক, মারমাদের সাংগ্রাই এবং চাকমা সম্প্রদায়ের বিজু উৎসবের বাংলা সংক্ষিপ্ত রূপের সংমিশ্রণ।
দুই জেলার চাকমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সদস্যরা তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বিজু উৎসবের প্রথম দিন ‘ফুল বিজু’তে চাঙ্গি নদী ও বিভিন্ন খালে ফুল বিসর্জন করেন।
ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে যুবতী ও শিশুরা সকালে নদীতে ফুল ডুবিয়ে মা গঙ্গার কাছে আশীর্বাদ কামনা করেছে। এসময় করোনা এবং আগের বছরের সমস্ত হতাশা ও দুঃখের দ্রুত অবসানের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
প্রতি বছর, রাঙামাটিতে বসবাসকারী ১৩টির মতো জাতিগত সম্প্রদায় বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু, জল উৎসব এবং বাংলা নববর্ষের মতো উৎসব উদযাপন করে।
উৎসবের আগে রাঙামাটিতে ৫ দিনব্যাপী মেলা শুরু হয় ৫ এপ্রিল থেকে, যেখানে বিভিন্ন ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১৩ এপ্রিল, ‘মুল বিজু’, ‘বৈশু’ বা ‘বিশু’ নামে পরিচিত উৎসবের দ্বিতীয় দিন। উৎসবের মূল আকর্ষণ হল ‘পাচন’ নামে একটি দেশীয় খাবার যা প্রতিটি বাড়িতে রান্না করা হয়।
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের দিন ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হবে মারমা সম্প্রদায়ের ‘জলকেলি’ নামে তিন দিনব্যাপী পানি নিক্ষেপ উৎসব।
জেলার কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নে এবারও আয়োজন করা হয়েছে জমকালো জলকেলি উৎসব।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি