টানা দুদিন তীব্র যানজটে ভয়াবহ সময় পার করেছেন রাজধানীবাসী। তবে বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিনদিনের সরকারি ছুটিতে অনেকেই ঢাকা ত্যাগ করেছেন। ফলে যানজট থেকে মুক্তি পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ঢাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার থেকে ছুটি শুরু হওয়ায় অনেক ঢাকার বাসিন্দা ছুটি কাটাতে বাড়ি, পর্যটন স্পট ও রিসোর্টের উদ্দেশ্যে রাজধানী ছেড়েছেন। এতে রাজধানীতে যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
তবে ছুটি কাটাতে যাওয়া মানুষের বিশাল ভিড়ে বিভিন্ন মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি করে।
ইউএনবির কুমিল্লা প্রতিনিধির প্রতিবেদন: কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৃহস্পতিবার বিকালে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়েন শত শত যানবাহন ও যাত্রী।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী, জাতীয় শিশু দিবস, সাপ্তাহিক ছুটি ও পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিনদিনের ছুটি পেয়েছেন মানুষ। এ জন্য মহাসড়কটিতে যানবাহনের ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
ইলিয়টগঞ্জ থেকে দাউদকান্দি জিংলাতলী পর্যন্ত ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এছাড়া মহাসড়কের কিছু অংশে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় যানবাহন চার লেনের পরিবর্তে দুই লেনে চলাচল করছে।
রুহুল আমিন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘দাউদকান্দির শহীদনগরে দুই ঘণ্টা ধরে আটকে আছি। কখন যানবাহন চলাচল করবে জানি না।’
কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা আরেক যাত্রী নিজাম উদ্দিন জানান, অস্বাভাবিক যানজটের কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা পর গন্তব্যে পৌঁছান তিনি।
শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দিতেই নয়, নারায়ণগঞ্জসহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানেও থেমে থেমে যানজটের সম্মুখীন হয়েছেন যাত্রীরা।
জহুরুল হক জানান, যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে তারা কাজ করছেন।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক