April 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, June 22nd, 2022, 7:35 pm

৩ পরিচালকের এক সিনেমা ‘এই মুহূর্তে’ দেখা যাবে কাল

অনলাইন ডেস্ক :

পিপলু আর খান, মেজবাউর রহমান সুমন ও আবরার আতহার সময়ের তিন মেধাবী নির্মাতা প্রথম বারের মতো আসছেন এক ফ্রেমে। এই সময়ের তিন গল্প নিয়ে তাঁরা নির্মাণ করেছেন সিনেমা। অ্যান্থলজি ঘরানার ওয়েব ফিল্মের নাম ‘এই মুহূর্তে’। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে দেখা যাবে সিনেমাটি। সিনেমায় ‘কোথায় পালাবে বলো রূপবান’ শিরোনামে এ কালের এক নারীর লড়াই দেখিয়েছেন পরিচালিক মেজবাউর রহমান সুমন। রূপবানের মূল চরিত্রে দেখা যাবে প্রিয়ন্তী উর্বীকে। উর্বীর সঙ্গে আরও দেখা যাবে মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, রাশেদা রাখি, কামরুজ্জামান তাপু, দৃষ্টি প্রামাণিকসহ অনেককে। প্রায় ১০-১২ বছর পর ফিকশন বানালেন মেজবাউর রহমান সুমন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর আমার আবার ফিকশনে ফেরা। আর সেটা একটা অ্যান্থলজি প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে।’ সবাই মিলে যখন প্ল্যান করে ফারহার পারিবারিক জীবন নিয়ে সালিশ বসায়, তখন এক দল উদ্ভট ক্যারেক্টার বাবা, মা, টাকাওয়ালা প্রভাবশালী আঙ্কেল, শাশুড়ি আর একজন কাজিন জড়িয়ে যায় একটা জটিল ন্যারেটিভের খেলায়। একই সময়ে পাশের বাড়িতে ঘটে যায় এক তুলকালাম কা-। আবরার আতহার পরিচালিত এই গল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ান পিস মেড কারিগর ইজ ডেড’। এই গল্পে প্রায় ২৫ জন অভিনেতা-অভিনেত্রী কাজ করেছেন। এই কাজের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর শহীদুজ্জামান সেলিম ও রোজী সিদ্দিকী দম্পতিকে একসঙ্গে দেখবে দর্শক। ওটিটিতে অভিষেক হবে সুনেরাহ বিনতে কামালের। পরিচালক আবরার আতহার বলেন, ‘যা প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে ঘটে থাকে তা অনন্য শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি, দর্শক এটা দেখে মজা পাবে।’ ‘কল্পনা’ শিরোনামের গল্পে দুটি অপরিচিত মানুষের একটি মুহূর্তের গল্প আবর্তিত হয়েছে তাদের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে। যেখানে আরও দুজন মানুষের আবির্ভাব হয়, যারা তাদের মতো করে নতুন করে দেখে। এটি নির্মাণ করেছেন পিপলু আর খান। এই গল্পে প্রায় দেড় দশক পর সারা যাকেরকে অভিনয়ে দেখবে দর্শক। সেই সাথে রয়েছেন জাহিদ হাসানের মতো বাঘা অভিনেতা। এই দুই প্রবীণ অভিনেতা সাথে রয়েছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী ও দিব্য জ্যোতি। পিপলু আর খান বলেন, ‘এই কনটেন্টটা খুব ইন্টারেস্টিং দুই কারণে। প্রথমত, এই মুহূর্তে খুব কোয়ালিফাই করে যে, সোসাইটির কিছুর গভীর ক্ষত বা প্রবাহ আমরা যেরকম দেখি সেভাবে দেখানো। দ্বিতীয়ত, এইটা একটা সেন্সিবল ও সেন্সিটিভ প্রজেক্ট। আমরা তিন জন চেষ্টা করেছি সমসাময়িক যে ঘটনাগুলা হয়েছে, সেটার একটা ফিকশনাল ব্যাখ্যা তৈরি করতে।’