November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, November 16th, 2021, 1:21 pm

৩ শতাধিক যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে গেল পর্যটকবাহী জাহাজ

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :

কক্সবাজারের লোভনীয় পর্যটন স্পট প্রবালদ্বীপে এ মৌসুমে পর্যটক যাতায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৌসুমের প্রথম জাহাজ কেয়ারি ক্রোজ অ্যান্ড ডাইন ৩১০ যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের পথে রয়েছে।

দুপুর ১২টা নাগাদ জাহাজটি দ্বীপে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছেন ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সাবেক সভাপতি ও ‘পদক্ষেপ বাংলাদেশ’ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি তোফায়েল আহমেদ।

কেয়ারি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের কক্সবাজার অফিসের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পেয়ে পূর্ব প্রস্তুতি মতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সেন্টমার্টিনের পথে যাত্রা করে আমাদের প্রথম জাহাজ।

প্রথম দিন ৩১০ পর্যটক সেন্টমার্টিন গেছেন। কেউ কেউ ওখানে রাতযাপনে থেকে যাবেন আর অনেকে ফিরে আসবেন। কমফোর্টভাবে পর্যটকরা ফিরে আসতে পারলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে অন্য জাহাজ চলাচলও শুরু হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া রয়েছে। আরও অনেক আগেই বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহণ দপ্তরের ছাড়পত্র পায় কয়েকটি জাহাজ। রোববার থেকেই দ্বীপে ভ্রমণকারীদের টিকিট বিক্রি শুরু হয়, বুকিংও ভালো হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ডাকবাংলো এলাকার সি আইল্যান্ড রিসোর্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মো. দিদারুল আলম বলেন, দ্বীপের আবাসিক হোটেল ও কটেজগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পর্যটন সেবায় আমরা সবাই প্রস্তুত।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, জাহাজ চলাচলের খবরে দ্বীপের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। কিন্তু পর্যটন মৌসুমের অনেক সময় চলে যাওয়ায় হতাশাও বিরাজ করছে।

সূজ জানায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপের একমাত্র জেটিটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় মৌসুম শুরুর দেড় মাস হয়ে গেলেও সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করা যায়নি। এতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে সেন্টমার্টিনে বিনিয়োগ করা কোটি কোটি টাকা। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের তদবিরে প্রশাসনের তদারকিতে ভঙ্গুর জেটিটি সংস্কার করা হচ্ছিল পক্ষকাল ধরে। এটি মোটামুটি চলাচল উপযোগী করতে পারায় মঙ্গলবার হতে পরীক্ষামূলকভাবে এ মৌসুমের প্রথম জাহাজ যাত্রা শুরু হয়েছে।

এদিন পর্যটকরা নিরাপদ যাতায়ত করতে সক্ষম হলে বাকি জাহাজগুলোও পর্যটক সেবায় চলাচল করবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রমতে, এ বছর সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলের অনুমতির জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে আবেদন করেছে পারিজাত, ফারহান, রাজহংস, সুকান্ত বাবু, কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রোজ অ্যান্ড ডাইন নামে ৬টি জাহাজ। যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সব ডকুমেন্টস জেলা প্রশাসনে আবেদনের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম জাহাজ ভালোমতো ফেরত এলে বাকিরা চলাচলের অনুমতি পাবে।