April 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, March 28th, 2023, 8:40 pm

৪০ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি করে ৯৯৯ এ মায়ের ফোন!

ফাইল ছবি

ফরিদপুর সদরের কোতোয়ালি থানায় নিজের তিনমাস বয়সী শিশুকে চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে মা নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে শিশুটিকে অপহরণের অভিযোগ করেন। উদ্ধারের পর মঙ্গলবার আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতে শিশুটিকে ফের মায়ের কাছে ফেরত দেয়া হয়।

অভিযোগকারী ওই নারী মাদারীপুরের শিবচরের বাসিন্দা।

জানা যায়, গত রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ৯৯৯-এ ফোন করে এক নারী জানান যে ফরিদপুর সদরের কোতোয়ালি থানার একটি বেসরকারি শিশু হাসপাতাল থেকে তার তিন মাস বয়সী শিশু হারিয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, তার শিশুকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ওই হাসপাতালে এনেছিলেন তিনি। একজন আয়ার কাছে শিশুটিকে রেখে তিনি টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে এসে তিনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আয়াকে এবং তার সন্তানকে আর খুঁজে পাননি।

এসব তথ্য জানিয়ে ওই নারী আইনী সহায়তার অনুরোধ জানান।

৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল জাহাঙ্গীর তাৎক্ষণিক ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানান।

সংবাদ পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপর হয়।

উল্লেখিত হাসপাতাল এবং তৎসংলগ্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অভিযোগকারী নারী ৯৯৯ এ কল করার পর হাসপাতালটিতে গিয়েছেন। এর আগে সেদিন তিনি ওই হাসপাতালে কখনো যাননি।

এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন যে তিনি নিজেই তার শিশুকে বিক্রি করে দিয়েছেন।

শিশু বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, তার তিনটি সন্তান পিঠাপিঠি। তার স্বামী প্রবাসী। তিনি তিনটি শিশু সন্তান নিয়ে একা একা সাংসারিক কাজ এবং তাদের সামলানো নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন। এছাড়াও শিশুটির কিছু অস্বাভাবিকতা তিনি লক্ষ্য করেন। তাই তিনি শিশুটিকে চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষদের ভুল বোঝাতে তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করে শিশু চুরির গল্পটি সাজান বলেও জানান ওই নারী।

এরপর সোমবার (২৭ মার্চ) তার দেয়া তথ্যমতে ফরিদপুরের ভাঙা থানার লোহারদিয়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

এরপর ওই নারীর আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেয়া হয় এবং তাদের অনুরোধে ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা না নিয়েই উদ্ধারকৃত শিশুটিকে ফের তার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল খায়ের শেখ ৯৯৯-কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।

—-ইউএনবি