October 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, November 22nd, 2023, 8:20 pm

৫০ জন জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি দিলো ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক :

জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছিল তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। ৫০ জন জিম্মির বিনিময়ে অবরুদ্ধ গাজায় চারদিন যুদ্ধবিরতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে গাজা ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। অন্যদিকে হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। খবরটি নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতির সময় ঘোষণা করা হবে। চারদিন যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে আর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে জিম্মি ৫০ জন শিশু ও নারীকে মুক্তি দেওয়া হবে। এদিকে কাতারের শেখ তামিম বিন হামাদ আল- থানি এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে এই চুক্তিতে পৌঁছানের পেছনে তাদের অসাধারণ নেতৃত্ব এবং অংশীদারিত্বে প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যাদের মুক্তি দেয়া হবে তাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

টেলিগ্রামে দেয়া এক বিবৃতিতে হামাস বলছে যুদ্ধবিরতির আওতায় ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করবে, চিকিৎসা ও জ্বালানিসহ যেসব অনুদান গাজায় পাঠানো হবে তা যেনো নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে, দক্ষিণ গাজায় চারদিন যুদ্ধবিরতি থাকবে আর উত্তর গাজায় সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ড্রোনের ব্যবহার বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না ইসরায়েলি সেনারা এবং হামলা চালানো বন্ধ রাখবে। তবে ঠিক কবে জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

২৪০ জিম্মিদের মধ্যে বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। এর আগে দুই দফায় চার জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালানোর পর এর জবাবে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সেনারা। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় একটি প্রস্তাব দিয়েছিল ফিলিস্তিনের শাসক গোষ্ঠী হামাস। এ সমঝোতায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে কাতার। আর এই সমঝোতার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।

এর আগে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছিলেন, কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সমঝোতার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন তারা। তবে এই বিষয়ে ইসরায়েলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জিম্মিদের নিয়ে শিগগিরই সুসংবাদ পাওয়ার আশার কথা জানিয়েছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছিলেন, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা কাজ করছি। এখন আমরা খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। আমরা হয়ত জিম্মিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে পারব। কিন্তু সব কিছু হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছুই চূড়ান্ত নয়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আল-আনসারি মঙ্গলবার বলেছিলেন, আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর এমন একটি পর্যায়ে রয়েছি, যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেকটাই চূড়ান্ত পর্যায়ের কাছাকাছি।