November 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 15th, 2021, 9:27 pm

৫ বছরেও রহস্য উদঘাটন হয়নি ফেনীর তিন খুনের মামলার

ফাইল ছবি

জেলা প্রতিনিধি:

ফেনী পৌরসভার পশ্চিম উকিলপাড়ায় মা ও দুই শিশু হত্যা মামলার দীর্ঘ পাঁচ বছরেও আদালতে চার্জশিট দিতে পারেননি তদন্তকারী কর্মকর্তারা। দীর্ঘ তদন্তে কোনো ক্লু উদঘাটন করতে না পারায় মামলাটিতে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হয়েছে। বারবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের পরও এ মামলার কোনো অগ্রগতি না থাকায় বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছে বাদী পক্ষ। মামলার বাদী ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে ভাড়া বাসা থেকে ইতালি প্রবাসী তারেক আহমেদের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার মুক্তা (২৬), তার মেয়ে তাসনিম আহমেদ (৮) ও ছেলে মহিম আহমেদের (৩) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন ১৩ ডিসেম্বর নিহত গৃহবধূ মুক্তারের ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি হত্যা মামলা করেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বিষপানে তিনজনের মৃত্যু হয় বলে প্রচার করলেও একপর্যায়ে ময়নাতদন্ত ও ভিসারা প্রতিবেদনে এটিকে হত্যাকান্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ফেনী মডেল থানার তৎকালীন ওসি রাশেদ খান চৌধুরী তদন্ত করে ঘটনার কোনো ক্লু উদঘাটন করতে না পারায় ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর মামলাটি অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) তারিক মাহমুদ, বিমল দাস ও পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলী দীর্ঘদিন মামলাটি তদন্ত করেও কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেননি। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের তৎকালীন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা অসীম কুমার সাহা বলেন, আলোচিত এ মামলার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এটি হত্যাকা- হিসেবে উঠে আসে। এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে বিষপানে মৃত্যুর কথা বলা হলেও ভিসারা প্রতিবেদনে বিষপানের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। মামলার বাদী মাসুম বলেন, বোন ও ভাগিনা-ভাগনির বিচারের জন্য অনেক দৌড়া-দৌড়ি করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি তদন্তকারী কর্মকর্তারা। মামলার তেমন কোনো গতি নেই। বিচারের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে জানি না। প্রকৃত তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছি। মামলাটির বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই শহীদ উল্লাহ বলেন, ময়নাতদন্তে ঘটনাটি হত্যাকা- উল্লেখ হলেও এখন পর্যন্ত মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এখন আমরা এ মামলায় চার্জশিট দাখিলের দিকে এগোচ্ছি।