দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বাংলাদেশ সফর করবেন বলে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আগামী ৬-৭ আগস্ট এই সফরের কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সফরকালে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও যুদ্ধের মধ্যেই এই সফর হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সফরসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সফর চূড়ান্ত হয়েছে উল্লেখ করে মোমেন শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াংকে আসলে তিনি খুশি হবেন।
ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর চেয়ে আসন্ন কম্বোডিয়া সফরকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বলে স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
চীনের দিক থেকে প্রাথমিকভাবে ৫-৬ আগস্ট সফর করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তবে বাংলাদেশ একদিন পেছানোর অনুরোধ করে। কারণ ৫ জুলাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামে যোগ দিতে ওই সময় কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে থাকবেন।
মোমেন বলেন, ‘ওনার সুযোগ থাকলে আমি সফরটি দু-একদিন পেছানোর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমি এটাই বলেছি। আর কিছু নয়, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে উভয়ের জন্য সুবিধাজনক তারিখ খুঁজে পাওয়া একটি স্বাভাবিক বিষয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেজন্যই আলোচনা হয়। সুতরাং এটি এমন একটি বিষয় নয় যা গণমাধ্যমে আসবে। এটি খুবই আশ্চর্যজনক।’
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বিরক্তি প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুবই সম্মানিত মানুষ, আমার খুব কাছের মানুষ। তিনি এখানে আসবেন। আমি বলেছিলাম যে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমার দেশে আসবেন এবং আমি তাকে রিসিভ করব না বা আমি তার সাথে দেখা করতে পারব না, এটা ভালো দেখায় না।’
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু