November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, July 5th, 2023, 6:11 pm

৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বয়োবৃদ্ধ আব্দুস শুক্কুরকে (৭৭) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।

তিনি কক্সবাজার জেলা মহেশখালী থানাধীন গুলগুলিয়াপাড়ার মৃত আলী রেজার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন বলে জানায় র‌্যাব কর্মকর্তারা।

বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৭ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে যুদ্ধাপরাধী বৃদ্ধ আব্দুস শুক্কুরকে কক্সবাজারের রুমানিয়াছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী এলাকায় গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ পাওয়ায় আব্দুস শুক্কুরের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত শুরু হয়।

দেশের বিভিন্ন স্থানে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে আট বছর ধরে আত্মগোপন করেও শেষ রক্ষা হয়নি একাত্তরে পাক বাহিনীর দোসর আব্দুস শুক্কুরের।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আব্দুস শুক্কুরের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে ২১ মে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগে তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করে আদালতে।

র‌্যাব-৭ জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গত ৩ জুলাই কক্সবাজার জেলা সদর থানার রুমানিয়াছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি আব্দুস শুক্কুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আব্দুস শুক্কুর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও পেকুয়া এলাকায় বাংলাদেশের নিরীহ মুক্তিকামী মানুষকে হত্যাসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে মহেশখালীতে গণহত্যা, লুটপাট, ঘরবাড়ি লুট ও নির্যাতন করেছে।

আব্দুস শুক্কুরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- আইনশৃংখলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনাম ধারণ করে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দীর্ঘ আট বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল।

সর্বশেষ কক্সবাজার জেলার সদর থানা এলাকায় বসবাস শুরু করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

—-ইউএনবি