November 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, March 21st, 2024, 8:27 pm

৯ বছর জেলেই কাটাতে হবে রবিনিয়োকে

অনলাইন ডেস্ক :

ইতালির আদালতে পাওয়া রবিনিয়োর সাজা বহাল রেখেছেন ব্রাজিলের আদালত। ধর্ষণের অভিযোগে ৯ বছর জেলে কাটাতেই হবে দুটি বিশ্বকাপ খেলা সাবেক ফুটবলারকে। অসাংবিধানিক ক্ষেত্রের জন্য ব্রাজিলের সর্বোচ্চ আদালত ‘সুপেরিয়র কোর্ট অব জাস্টিস’ বুধবার ইতালির আদালতের রায়কে বৈধতা প্রদান করে। ব্রাজিলের আদালতে ৯-২ ভোটে বৈধতা পায় ইতালির রায়। ইতালির ক্লাব এসি মিলানে খেলার সময় ২০১৩ সালে মিলানের একটি নাইটক্লাবে এক নারীকে অ্যালকোহল পানের পর আরও ৫ ব্রাজিলিয়ানের সঙ্গে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রবিনিয়োর বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে মিলানের আদালতে তারা দোষী প্রমাণিত হন। ২০২০ সালে আপিলস কোর্টে সেই রায় বহাল থাকে।

২০২২ সালে ইতালির সুপ্রিম কোর্টও সেই রায়কে বৈধতা দান করে। রবিনিয়োর পুরো নাম হবসন দে সৌজা। ফুটবল ক্যারিয়ার শেষে তিনি ব্রাজিলেই থাকছেন এবং বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। ব্রাজিল তার নাগরিকদের হস্তান্তর করে না। অন্য দেশে কেউ শাস্তি পেলেও সেই অপরাধীকে হস্তান্তর করার আইন নেই তাদের। গত বছর তাই ইতালির সরকার ব্রাজিল সরকারের কাছে অনুরোধ জানায়, ৯ বছরের শাসতি যেন ব্রাজিলের জেলেই কাটাতে বাধ্য করা হয় রবিনিয়োকে। সেই প্রেক্ষিতেই ব্রাজিলের আদালতে মামলাটি ওঠে। তবে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার প্রক্রিয়া নতুন করে পরিচালনা করা হয়নি এখানে। এই আদালত স্রেফ খতিয়ে দেখেছেন, ইতালির আদালতের রায় বৈধ কি না।

গত রোববার স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে নিজেকে আবারও নির্দোষ দাবী করেছেন রবিনিয়ো। “আমি যা করিনি, সেটার দায়ে ইতালিতে আমাকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।” রবিনিয়োর আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন এবং আবেদন করবেন যেন আপিল প্রক্রিয়া চলার সময় সাবেক এই ফরোয়ার্ডকে জেলে যেতে না হয়। রবিনিয়ো এখন সান্তোসে থাকেন এবং গত বছরে মার্চে তার পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কর্তৃপক্ষের কাছে। সান্তোসের একাডেমি থেকেই উঠে এসে ব্রাজিলিয়নি ফুটবলে সাড়া জাগান রবিনিয়ো। তার ১৫ বছর বয়সেই তাকে নিজের উত্তরসূরীর খেতাব দিয়েছিলেন স্বয়ং পেলে।

সান্তোস মাতিয়ে তিনি ২০০৫ সালে নাম লেখান রেয়াল মাদ্রিদে। তবে নিজের প্রতিভা আর সম্ভাবনাকে তিনি পূর্ণতা দিতে পারেননি ইউরোপে। রেয়াল থেকে ২০০৮ সালে পাড়ি জমান ম্যানচেস্টার সিটিতে। সেখান থেকে ধারে সান্তোসে ফেরেন তিনি ২০১০ সালে। ওই বছরই তাকে দলে নেয় এসি মিলান। ইতালিয়ান ক্লাবটিতেও ৫ বছর থেকে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। পরে চীন ও তুরস্কে ক্লাব ফুটবল খেলে ২০২০ সালে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন। ব্রাজিলের হয়ে তিনি খেলেছেন ১০০ ম্যাচ। ২০০৭ কোপা আমেরিকা এবং ২০০৫ ও ২০০৯ কনফেডারেশনস কাপজয়ী ব্রাজিল দলের অংশ ছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০০৬ ও ২০১০ বিশ্বকাপে তিনি খেলেছেন।