September 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, August 23rd, 2023, 8:58 pm

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন স্রেথা থাভিসিন

অনলাইন ডেস্ক :

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ফেউ থাই পার্টির নেতা স্রেথা থাভিসিন। পার্লামেন্টে এ-সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। এরমধ্য দিয়ে দেশটিতে তিন মাস ধরে চলমান অনিশ্চয়তা ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। স্রেথার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবার দিন ১৫ বছরের নির্বাসন থেকে দেশে ফিরেই কারাবন্দি হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। এ বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল স্রেথা থাভিসিনের রাজনৈতিক দল ফেউ থাই পার্টি। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে পার্লামেন্টে ভোট হয়। অনেকের ধারণা ছিল, নির্বাচনে প্রথম হওয়া প্রগ্রেসিভ মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি থেকেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।

তবে শেষমেশ ভোটে জিতে দেশটির ৩০তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন স্রেথা থাভিসিন। গত মঙ্গলবার পার্লামেন্টে উপস্থিত ৭২৭ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ৪৮২ জনের সমর্থন পান তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একে অন্ত্যন্ত শক্তিশালী ম্যান্ডেট বলে অভিহিত করছেন। ব্যাংকক থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক টনি চেং বলেছেন, “এই ভোটে নতুন পুরনোদের সম্মিলন ঘটেছে। স্রেথা নিম্ন ও উচ্চকক্ষ উভয় ক্ষেত্রেই ৩৭৬টি বেঞ্চমার্ক ভোট পেয়েছেন। এরমধ্যে সিনেট থেকে ১৫০টির বেশি ভোট পেয়েছেন সামরিক শাসকদের নিয়োগ করা সদস্যদের কাছ থেকে।” ২০০৬ ও ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানে ফেউ থাই পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকারকে সরিয়ে দেওয়া সামরিক শক্তি ও তাদের সমর্থিত অন্য দলগুলোকে একত্র করে জোট গঠন করতে হবে নতুন এই প্রধানমন্ত্রীকে। স্রেথা ১১ টি দলের একটি জোটের নেতৃত্ব দেবেন।

যেখানে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রুথ চান-ওচা-এর সাথে যুক্ত দুটি সামরিক সমর্থিত দল রয়েছে। তবে মুভ ফরোয়ার্ড দলকে জোট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সমালোচকরা নতুন সরকার গঠনের ঘটনাকে নির্বাচনী ফলাফলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল বলে অভিহিত করেছেন। তবে ফেউ থাই পার্টির নেতারা এটিকে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান এবং পুনর্মিলন সৃষ্টির উপলক্ষ বলে মনে করছেন। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরপরই ফেউ থাই পার্টির সদর দপ্তরে লাল পোশাকে উৎসব শুরু করেছেন সমর্থকরা।

স্রেথা বলেন, “দেশের জনগণের জন্য আমি অক্লান্ত পরিশ্রম করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।” তিনি বলেন, “আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো। থাই জনগণের জীবনমান উন্নত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করব।”ফেউ থাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো থাইল্যান্ডে ফিরে আসার কয়েক ঘণ্টা পর পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়। যদিও নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার পরপরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।