November 26, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, December 8th, 2023, 9:23 pm

ফিলিপসের ঝড়ো ইনিংসে এগিয়ে নিউ জিল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক :

বৃষ্টিতে উইকেট দীর্ঘসময় ঢেকে রাখা ছিল কাভারে। খেলা শুরুর পর তাই উইকেটের আচরণ ভয়ঙ্কর হবে বলেই ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু উল্টো ব্যাট হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন গ্লেন ফিলিপস। পাল্টা আক্রমণে বাংলাদেশকে হতচকিত করে চার-ছক্কার ঝড় তুলে তিনি লিড এনে দিলেন নিউ জিল্যান্ডকে। মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে ৮ রানের লিড নিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে কিউইরা প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ১৮০ রানে। দলকে এগিয়ে রাখার মূল কারিগর ফিলিপস। বিপর্যয়ের মধ্যে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তিনটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। চার ওভার বোলিংয়ে দুই উইকেট শিকার করেন নাঈম হাসান। শেষ দিকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম।

আগের দিন পুরোটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শুক্রবার প্রথম সেশনেও খেলা হয়নি মাঠ ভেজা থাকায়। অবশেষে খেলা শুরু হয় দুপুর ১২টায়। ততক্ষণে ঘণ্টাখানেক রোদ পেয়ে উইকেট একটু থিতু হয়ে যায়। ভারি রোলারও ব্যবহার করা হয় খেলা শুরুর আগে। তারপরও উইকেটে স্পিনারদের সহায়তা ছিলই। তাইজুল ও মিরাজরা যথারীতি টার্ন ও বাউন্স আদায় করে নিতে থাকেন। কিন্তু প্রতি আক্রমণে দ্রুত রান তুলতে থাকেন ফিলিপস। আরেক পাশে ড্যারিল মিচেল খেলতে থাকেন কিছুটা সতর্কতায়। তিনি হাত খুলে মারতে গিয়েই ডেকে আনেন নিজের বিপদ। নাঈমের বলে অনেকটা দৌড়ে দুর্দান্ত ডাইভিং ক্যাচ নেন মিরাজ। নাঈমের টার্ন ও বাউন্সে মিচেল স্যান্টনার বিদায় নেন দ্রুতই।

নিউ জিল্যান্ডের রান তখন ৭ উইকেটে ৯৭। বাংলাদেশের বড় লিডের সম্ভাবনা তখনও উজ্জ্বল। কিন্তু পরের জুটিতেই তা ম্লান হতে থাকে একটু একটু করে। বড় শট খেলার বল নির্বাচন ছিল ফিলিপসের প্রায় নিখুঁত। নাঈমকে টানা দুই বলে ছক্কা-চার মেরে ফিফটি করেন তিনি ৩৮ বলে। বাউন্ডারি আদায় করতে থাকেন তিনি মিরাজ-তাইজুলদের বলেও। জুটি ভাঙার জন্য বোলিংয়ে আনা হয় মুমিনুল হককে। তাকে ছক্কা-চার মেরে বোলিং থেকে সরিয়ে দেন ফিলিপস। আরেক পাশে তাকে দারুণ সঙ্গ দেন কাইল জেমিসন।

শেষ পর্যন্ত পেসার শরিফুলকে আক্রমণে আনতে বাধ্য হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কাজ হয় তাতেই। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলেই ২০ রানে বিদায় নেন জেমিসন। জুটিতে ততক্ষণে উঠে গেছে ৫৫ রান। ফিলিপস এরপরও শট খেলতে থাকেন। বাংলাদেশের রান পেরিয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। এরপর অবশ্য আর বেশিদূর এগোতে পারেননি তারা। শরিফুলকেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিদায় নেন ফিলিপস। কিছু একটা নিয়ে তাকে বেশ অসন্তুষ্ট দেখা যায় তাকে। হয়তো কোনো সমস্যা ছিল সাইটস্ক্রিনে। তবে মাঠ ছেড়ে তো যেতেই হয়। পরের ওভারেই টিম সাউদিকে ফিরিয়ে ইনিংস শেষ করেন তাইজুল। খেলাটা এখন মূলত ইনিংস করে। আগের টেস্টে সিলেটে ১২ রানের লিড নিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবারও শান্তদের চাওয়া থাকবে নিশ্চয়ই তেমন কিছুই। তবে উইকেট এবার অনেক অনেক বেশিই চ্যালেঞ্জিং।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৭২
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৫৫/৫) ৩৭.১ ওভারে ১৮০ (মিচেল ১৮, ফিলিপস ৮৭, স্যান্টনার ১, জেমিসন ২০, সাউদি ১৪, এজাজ ০*; শরিফুল ৪-১-১৫-২, মিরাজ ১১-১-৫৩-৩, তাইজুল ১৬.১-০-৬৪-৩, নাঈম ৪-০-২১-২, মুমিনুল ২-০-১৭-০)