জাতিসংঘ বলেছে, তারা দেখতে চায় প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্ত এবং কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ভোট দিতে পারে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতি ছাড়া বা কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ভোট দিতে পারে।’
প্রশ্নকারী রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং আইসিএইডিসহ ছয়টি শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কথা উল্লেখ করেন, যারা বাংলাদেশের মৌলিক অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
একই ধরণের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘সরকার কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করছে না, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিচ্ছে।’
মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসী, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করছি। আমরা রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছি না।’
তিনি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস এবং যানবাহন ও নিরপরাধ মানুষের ওপর অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করে।
যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদেরকে সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে যথাযথ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ একটি মডেল দেশ।
তিনি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
মোমেন বলেন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে অন্যান্য দেশের বাংলাদেশের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
তিনি গাজা এবং কিছু উন্নত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেন, যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা করা হয়।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ