অনলাইন ডেস্ক :
অপূর্ব, নিশোদের সঙ্গে মেহজাবীন-তিশা-ফারিণদের জুটি আগের মতো নেই বললেই চলে। টিভি নাটকে এখন বেশ কয়েকটি নতুন জুটি গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে অন্যতম সম্ভাবনাময় ইয়াশ রোহান-তানজিম সাইয়ারা তটিনী জুটি। একের পর এক নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করছেন দুজন। এই জুটির গ্রহণযোগ্যতা ও রসায়ন নিয়ে লিখেছেন হৃদয় সাহা। কোরবানির ঈদে ‘প্রণয়’-এ প্রথমবার দেখা গেল তাঁদের। পথিক সাধনের নাটকটি প্রচারের পর দর্শক দারুণ পছন্দ করেছে ইয়াশ-তটিনী জুটিকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক দর্শকই তাঁদের প্রশংসা করে পোস্ট করেছে। তাঁদের পর্দা রসায়ন দেখে উচ্ছ্বসিত নির্মাতারাও, পর পর বেশ কিছু নাটকে কাস্ট করেছেন দুজনকে।
দর্শকের আলোচনা-সমালোচনা, ইউটিউব ভিউ জানান দিচ্ছে ইয়াশ-তটিনী জুটির দর্শকপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছেই। মজার বিষয় হলো, বছরখানেক আগেও একে-অন্যের মধ্যে চেনাজানা ছিল না। কিভাবে পরিচয় ও প্রথম অভিনয়, বললেন ‘সুহাসিনী’ খ্যাত তটিনী, “চরকির অ্যান্থলজি ফিল্ম ‘এই মুহূর্তে’তে আমরা দুজন দুটি ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। সেই সুবাদে ছবিটির প্রিমিয়ারে আমাদের দেখা হয়েছিল। ওটাই আমাদের প্রথম দেখা ও আলাপ।
এরপর আড়ংয়ের একটি বিজ্ঞাপন করেছিলাম। হঠাৎ একদিন ইয়ামিন ইলান ভাই ‘নির্বাসিত’ নাটকের জন্য অফার করেন, আমার সহশিল্পী হিসেবে ইয়াশ ভাইয়ার কথা বলেছিলেন। ওটাই আমাদের প্রথম নাটক। যদিও আগে প্রচারিত হয় ‘প্রণয়’, এরপর থেকেই মূলত আমাদের নিয়ে আলোচনা শুরু।” মাত্র পাঁচ মাসে ইয়াশ-তটিনী জুটির নাটকের সংখ্যা ১০ ছাড়িয়েছে। প্রণয়ের পর করেছেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’, ‘কথা ছিল’, ‘যে প্রেম এসেছিল’, ‘সে বসে একা’সহ আরো কয়েকটি নাটক ও ওয়েব ছবি ‘অবাক কা-’। জুটি বেঁধে অভিনয় করতে গিয়ে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া কেমন গড়ে উঠেছে? ইয়াশ রোহান বলেন, ‘তটিনী তাঁর নিজের কাজ নিয়ে সব সময় একাগ্র থাকেন। গল্পের চরিত্র ও সহশিল্পী নিয়ে সচেতন থাকেন।
সহশিল্পী হিসেবে তাঁর সঙ্গে কাজ করাটা বেশ উপভোগ্য। আমরা যখন সেটে থাকি তখন আনন্দ নিয়েই কাজ করি।’ নিজেদের জুটির ‘প্রণয়’ ও ‘অগ্নিগিরি’ তাঁদের দুজনেরই বিশেষ পছন্দের। সাধারণত কোনো সম্ভাবনাময় জুটির কাজের সংখ্যা বেড়ে গেলে মান কমে যায়, তাতে সেই জুটির গ্রহণযোগ্যতাও কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তটিনী এই কথায় সায় দিলেন। বলেন, ‘সংখ্যা বাড়লে মান কমে যায়, এটা সত্যি। আমাদের জুটির যেন কিছু বিশেষ কাজ থাকে সেই চেষ্টা করছি। দুজনই ভেবে-চিন্তে নাটক নির্বাচন করি।’ অতীতে দেখা গেছে, কোনো জুটি জনপ্রিয় হলে তাঁরা নির্মাতাদের চাপ দেন, যেন তাঁদেরই বারবার কাস্ট করা হয়। অভিযোগটা হাসি দিয়ে উড়িয়ে দিলেন ইয়াশ।
বলেন, ‘পরিচালকরা তো সব নাটকেই তটিনীকে নেবেন না, আমার প্রথম ফোকাস আমার চরিত্র। ওটা নিয়েই বেশি ভাবি। সহশিল্পী হিসেবে কে আছেন, ওটা নিয়ে তেমন ভাবি না। নির্মাতারা তটিনীকে আমার সঙ্গে পছন্দ করছেন বলেই নিচ্ছেন। তবে হ্যাঁ, এখন যেহেতু তটিনীর সঙ্গে বেশি অভিনয় করতে করতে ভালো একটা বোঝাপড়া হয়েছে, সে কারণে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব।’
এই প্রসঙ্গে প্রায় অভিন্ন কথা বললেন তটিনীও। একসঙ্গে জুটি গড়ে উঠলে তাঁদের নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন উঠবে না, তা তো হয় না! তাঁদের নিয়েও উঠেছে। তটিনী বলেন, ‘এমন কোনো সম্ভাবনাই নেই। দর্শক নাটকে আমাদের রসায়ন দেখে মুগ্ধ হয়ে এসব ভাবে, এটা আমাদের প্রাপ্তি।’ তবে ইয়াশ একটু সিরিয়াস হয়েই বললেন, ‘দেখুন, নিজের ব্যক্তিগত জীবন একেবারেই আলাদা রাখতে চাই। এসব গুঞ্জনে কে কী বলল তাতেও আমি চিন্তিত নই। নির্মাতারাও এসব নিয়ে ভাবেন না।’ ইয়াশ-তটিনী জুটির ভক্তদের জন্য সুসংবাদ আছে, আসছে ভালোবাসা দিবসে ভিকি জাহেদের একটি নাটকে অভিনয় করবেন তাঁরা। এরপর শুরু হবে ঈদের নাটকের ব্যস্ততা।
আরও পড়ুন
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু
নেপালে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১৯২