অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকার ডেরাতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি অনায়াসেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এমন জয়ের পর বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) আশা করা হচ্ছিল সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ নারী দল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে খেই হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল। ফারজানা হক পিংকি সেঞ্চুরি পেলেও তা ম্লান করে দিয়ে শেষ হাসি হেসেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ১৩১ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) কোনো কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলতে পারেনি প্রোটিয়া ব্যাটারদের।
বাংলাদেশের দেওয়া ২২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৯ বল আগে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। ভারতের বিপক্ষে ঢাকায় সেঞ্চুরি করেছিলেন ফারজানা হক পিংকি। চলতি বছরের জুলাইতে ভারতের বিপক্ষে ১০৭ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান তিনি। ৫ মাসের মধ্যেই বুধবার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। এদিন প্রোটিয়া বোলারদের বিপক্ষে খেলেছেন ১০২ রানের ইনিংস। তার ইনিংসের উপর ভর করেই মূলত বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে। টস হেরে ব্যাট করতে উদ্বোধনী জুটিতে শামীমা সুলতানা ও ফারজানা হক তোলেন ৪৮ রান। ৫ চারে ২৮ রান করে শামীমা আউট হওয়ার পর মুর্শিদা খাতুন (৮) বেশিক্ষণ টেকেননি।
এরপর নিগার সুলতানাকে একপাশে রেখে খেলতে থাকেন ফারজানা। ফারজানার সঙ্গে ৫৮ তুলে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১ চারে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তবে সবচেয়ে বড় জুটিটা আসে ফারজানা ও ফাহিমা খাতুনের কাছ থেকে। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ১০৮ বলে ৯২ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ফারজানা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন। ১৬৫ বলে ১১ চারে ১০২ রানে আউট হন তিনি। ফাহিমা খাতুন ৩ চারে অপরাজিত ৪৬ ও রিতু মনির অপরাজিত ৬ রানে ভর করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান সংগ্রহ করে।
২২৩ রানের জবাবে খেলতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। দুই ওপেনার লরা ওলভার্ড ও তাজমিন ব্রিটস মিলে ১০৬ রানের জুটি গড়েন। দুই জনের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা জুটিটা ভাঙেন রিতু মনি। ততোক্ষণে জয়ের পথটা তৈরি করে ফেলেছে স্বাগতিকরা। ৮৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় তাজমিন ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। পরের ওভারে ফাহিম খাতুনের বলে বোল্ড হন লরা (৫৪)। ৬৭ বলে ৩ চারে প্রোটিয়া এই ওপেনার নিজের ইনিংসটি সাজান। বাকি পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দেন অ্যানেকে বোশ ও সুনে লুজ জুটি। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১১৭ রানের জুটির উপর ভর করে ২৯ বল আগে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দলটি। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরলো স্বাগতিকরা। অ্যানেকে ৬৫ ও সুনে ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা