অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে চলমান জাতিগত সংঘর্ষে নিহতদের গণকবর দেওয়া হয়েছে। কুকি-জো জাতিগোষ্ঠীর ৮৭ জনকে গণকবর দেওয়া হয়। গত ৩ মে থেকে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা চুরা চাঁদপুরে তাদের সমাধিস্থ করা হয়। গত রোববার রাতে দুটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের পর চুরাচাঁদপুরে এখনো ১৪৪ ধারা জারি আছে। কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। নিহত ৮৭ জনের সবাই কুকি-জো সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। প্রায় আট মাস মর্গে থাকার পর অবশেষে তাদের সমাধিস্থ করা হচ্ছে। দাফনে বিলম্ব হওয়ায় এই অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর একইভাবে ১৯ জনকে গণকবর দেওয়া হয়।
মণিপুরে গত ৩ মে জাতিগত দাঙ্গা শুরুর পর এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ১৮৭ জন নিহত হয়েছেন। বেসরকারিভাবে সংখ্যাটি অনেক বেশি। মণিপুরের তিনটি মর্গে পড়ে থাকা ৯৪টি মরদেহের মধ্যে ৮৮টি দুই সপ্তাহের মধ্যে সৎকার করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়সীমা অবশ্য ১৩ ডিসেম্বর পেরিয়ে যায়। ৯৪টির মধ্যে ছয়টি দেহের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ চলতি পরিস্থিতিতে নাগরিক সংগঠনগুলোর গণসৎকারের দাবি মানতে রাজি হয়নি প্রথমে। এতে রাজ্যে জাতিগত সংঘাত আরো বাড়তে পারে বলে বলা হয়।
তারা জানায়, সরকারই নিহতদের সৎকার করবে। কিন্তু সংঘর্ষে লিপ্ত কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায় দাবি করে, লাশগুলো তাদের সংগঠনের হাতে তুলে দিতে হবে। সরকারি সূত্রে জানা যায়, রাজ্য প্রশাসন দুই সম্প্রদায়ের দাবিই মেনে নিয়েছে পরে। সূত্র : এনডিটিভি, দ্য ওয়াল
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু