অনলাইন ডেস্ক :
বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা তরুণ পেস বোলার শরিফুল ইসলাম। সেই সঙ্গে গেল বছর বাংলাদেশ দলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারিও তিনি। এর আগে ২০২০ সালে দেশে যে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা নিয়ে আসে টাইগার যুব দল, সেই দলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এই ডানহাতি বোলার। সেই সঙ্গে সবশেষ গেল মাসে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ছিলেন এই টাইগার পেসার। সম্প্রতি ক্রিকেটভিত্তিক গণ্যমাধ্যম ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন এই টাইগার বোলার। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। সেই বিশ্বকাপ নিয়ে শরীফুল বলেন, ‘আমি সব সময় হৃদয় দিয়ে ক্রিকেট খেলি। আমি কখনো হারতে পছন্দ করি না। আমি হয়তো মাঝে মাঝে খারাপ পারফরম্যান্স করি, কিন্তু প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চিও ছাড় দিতে চাই না।’
বর্তমানে শরীফুল তিন ফরম্যাটে টাইগার স্কোয়াডে নিয়মিত মুখ হয়ে উঠেছেন। বল হাতে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও। ধারাবাহিক ফর্মে থাকলে এ বছরও ব্যতিক্রম হবে না। যদিও চলতি বছর বেশ ব্যস্ত বাংলাদেশ মোট ১৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। আরও রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। সব ফরম্যাট মিলিয়ে প্রায় ৪০টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ এক বছরে এত ম্যাচ খেলেনি। খেলার এই চাপটা কীভাবে অতিক্রম করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইনজুরি বলেকয়ে আসে না। মাঠে নামলে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। আমাকে চেষ্টা করতে হবে, কীভাবে কাজের চাপ বজায় রেখে মাঠে পারফর্ম করতে পারি।’
সেই সঙ্গে শরীফুল পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আপনি বিশ্বে দেখতে পাচ্ছেন যে ইনজুরি থেকে বেরিয়ে আসার পরে ফাস্ট বোলারদের গতি কমে যায়, যেমন পাকিস্তানের বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। আমাদের ভালো মানের কোচ আছে। তাদের প্রধান কাজ হলো বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমাদের গাইড করা এবং আমরা যদি সে অনুযায়ী খেলতে পারি, সেক্ষেত্রে বলের গতির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারব।’ বলতে গেলে জাতীয় দলে অটো চয়েস ছিলেন তাসকিন-এবাদত। সঙ্গে থাকতেন মোস্তাফিজ, না হয় হাসান মাহমুদ। সেই সময় তিনি খুব একটা সুযোগ পেতেন না।
তবে এবাদত-তাসকিন চোটে পড়ায় প্রায় প্রতি ম্যাচেই তাকে মাঠ দাপাতে দেখা যায়। আর সুযোগ পেয়েই টাইগার হেড কোচ চ-িকা হাথুরুসিংহের পছন্দের তালিকায় প্রবেশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে শরীফুল বলেন, ‘আসলে আমি এই মুহূর্তে আমার বোলিং সত্যিই উপভোগ করছি। যখন তারা খেলছিল, তারা চমৎকার কাজ করেছিল এবং তাদের অনুপস্থিতিতে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। তারা যদি ফিট থাকত, তাহলে তারা আমার চেয়ে ভালো করতে পারত এবং এটা দলের জন্য সহায়ক হতো। এখন আমি বলতে পারব না যে তাদের অনুপস্থিতিতে আমি কতটা করতে পারি। তবে যখন কোনো কোচ আপনার প্রশংসা করেন, এটি সর্বদা আপনাকে অনুপ্রাণিত করে। তারা আসার পরে আমি যেভাবে করছি, তা চালিয়ে যেতে চাই এবং সেক্ষেত্রে এটি দেশের জন্য উপকারী হবে।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা