অনলাইন ডেস্ক :
বিলকিস বানুকে গণধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামির মুক্তির বিষয়টি বাতিল করেছেন ভারতের আদালত। ওই ১১ ব্যক্তিকে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০০২ সালে পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার সময় বিলকিস বানুকে গণধর্ষণ এবং তাঁর আত্মীয়দের হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছিল। স্থানীয় সময় সোমবার শীর্ষ আদালত ওই ১১ জনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত বলেছেন, ‘তাদের সাজা মওকুফের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।’ ২০০৮ সালের গোড়ার দিকে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ওই ১১ জন পুরুষকে ২০২২ সালের আগস্টে গুজরাট সরকার মুক্ত করার আদেশ দিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত বিতর্কের ঝড় তোলে। আসামিরা কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তাদের মুক্তির সুপারিশ করেছিলেন। রাজ্য সরকারের দাবি ছিল, বন্দি অবস্থায় তাঁরা ভালো ব্যবহার করেছিলেন। তাঁদের পক্ষে বিজেপি নেতাদেরও কেউ কেউ ভালো ভালো মন্তব্যও করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এখনও রাজ্য শাসন করে। বন্দি থাকাকালে বহুবার তাঁদের প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তাদের মুক্তির নিন্দা জানিয়েছিল ভুক্তভোগীর স্বামী, আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে মওকুফের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, যার মধ্যে একটি বানু নিজেই করেছিলেন।
স্থানীয় সময় সোমবার রায়ে আদালত জানিয়েছেন, মামলার বিচার ভারতের মুম্বাইতে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকে সাজা কমানোর ক্ষমতা গুজরাটের নেই। এদিনের রায়ের বিষয়ে ওই ১১ জন আসামি এবং গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিলকিস বানুর বয়স এখন চল্লিশের কোঠায়। গুজরাট দাঙ্গার সময় যখন তিনি গণধর্ষণের শিকার হন তখন তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। হামলাকারীদের হাতে তাঁর পরিবারের সাত সদস্যও নিহত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিল বিলকিসের তিন বছর বয়সী শিশুকন্যাও। দাঙ্গাটি ভারতের সবচেয়ে খারাপ ধর্মীয় দাঙ্গার মধ্যে একটি ছিল, যেখানে অধিকাংশই মুসলিম মারা গিয়েছিল। সূত্র: আলজাজিরা
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু