পবিত্র দুই মসজিদের হেফাজতকারী বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের ওমরাহ পালনের জন্য একটি প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করায় বাংলাদেশি ভ্যান চালক আব্দুল সালাম মো. রমজান আলীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
সালাম সৌদি আরবে তার আবাসস্থলে ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি আমার চোখে পবিত্র মক্কা ও মদিনা দেখতে চেয়েছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে আমি আমার অনুরোধ গ্রহণের চেষ্টা করেছি।’
তিনি সৌদি কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন যাতে তার ইচ্ছা পূরণ হয়।
৫৪ বছর বয়সী রমজান আলী বলেন, ‘আমাকে মক্কা ও মদিনা দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও সৌদি বাদশাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
তিনি তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সহযোগিতার জন্য সৌদি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
গত ৩৫ বছর ধরে ঝিনাইদহ জেলার নিজ গ্রামে ভ্যান চালিয়ে আসা আব্দুল সালাম ওমরাহ পালনের জন্য ৩৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে ৬ মার্চ মদিনায় আসেন।
তিনি প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আজ শুক্রবার মদিনার মসজিদে নববীতে জুমার নামাজ আদায় করবেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ইসলামিক স্কলার, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী এবং টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা-সিইও আয়মান সাদিক ও লেখক, বক্তা, ইংরেজি শিক্ষক মুনজেরীন শহীদের মতো ইনফ্লুয়েন্সাররা রয়েছেন।
কয়েক বছর ধরে সরকারি কলেজের একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করা আব্দুল সালামের রয়েছে আরেকটি স্বপ্ন। তিনি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ পরিদর্শন করতে চান।
অস্ত্র হাতে তুলে নিতে নয়, মানুষকে সাহায্য করতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আল-আকসা মসজিদের ইমামকে কিছু উপহার দিতে চাই। আমি আমার সাধ্যমতো তাদের সাহায্য করতে চাই।
সালাম জানান, তিনি তার স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে একটি অনুরোধপত্র লিখেছেন।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
কুবা মসজিদ, কিং ফাহাদ কমপ্লেক্স, শুহাদা ও উহুদ পাহাড়, নবীর জীবনী ও ইসলামী সভ্যতার আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ও জাদুঘর পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সোমবার ওমরাহ পালন করতে মক্কার উদ্দেশে মদিনা ত্যাগ করবে।
বাদশাহ সালমান ২০২৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এক হাজার ওমরাহ যাত্রীকে অতিথি হিসেবে অনুমোদন দেন।
পবিত্র দুই মসজিদের অতিথি প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে হজ, ওমরাহ ও সফরের এই আয়োজন দেশটির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে।
সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী শেখ আব্দুল লতিফ আল-শেখ বাদশাহ এবং ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানকে এই উদার উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২