অনলাইন ডেস্ক :
আবারও প্রতিপক্ষের জালে গোল উৎসব পিএসজির। বার্সেলোনাকে তাদের মাঠেই ৪-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে লুই এনরিকের দল। দুর্দান্ত ছন্দটা ধরে রেখে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানেও বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কাকতালীয়ভাবে লিওঁর বিপক্ষেও স্কোরলাইন অভিন্ন, ৪:১। বিশাল এই জয়ে লিগ ওয়ানের শিরোপা জেতাটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা পিএসজির। পার্ক দ্য প্রিন্সেসে সবগুলো গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর লিগ ওয়ানে কোনো ম্যাচ হারেনি পিএসজি। নিজ মাঠে শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছে পিএসজির। খেলার ছয় মিনিটের মধ্যে তারা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।
খেলার তৃতীয় মিনিটে নেমানিয়া ম্যাটিচের আত্মঘাতী গোলের মিনিটে তিনেক পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লুকাস বেরালদো। এরপর একা দুই গোল করে ম্যাচটাই শেষ করে দিন গনসালো রামোস। ৩২ মিনিটে নিজের প্রথম গোল করার দশ মিনিট পর দ্বিতীয়বার লিওঁর জালে বল পাঠান তিনি। রামোসের দুই গোলের মাঝে লিওঁর হয়ে একটি গোল করেন আরনেস্ট নুয়ামাহ। দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই অবশ্য আর গোল করতে পারেনি। এই ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে খেলাননা পিএসজি কোচ লুই এনরিকে। বিশ্রাম দেওয়া হয় উসমানে দেম্বেলেকেও।
বার্সেলোনার বিপক্ষে জয়ী দলের পাঁচজনকে বসিয়ে একাদশ গড়েছিলেন পিএসজি কোচ। তাঁদের ছাড়াও বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এ জয়ে ট্রফি নিজেদের কাছে রেখে দেওয়া অনেকটাই নিশ্চিত পিএসজির। দ্বিতীয়স্থানে থাকা মোনাকোর চেয়ে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে গেছে লুই এনরিকের দল। মৌসুমের বাকী আর পাঁচ ম্যাচ। ওই পাঁচ ম্যাচে পিএসজিকে পেছনে ফেলা মোনাকোর জন্য অসম্ভবই। আগামী বুধবারই শিরোপা উৎসবে মাতোয়ারা হতে পারে পিএসজি। সেদিন লরিয়েঁকে হারাতে পারলে আর মোনাকো যদি লিলের বিপক্ষে জিততে না পারে তাহলেই সবশেষ ১২ মৌসুমে ১০ম লিগ জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে পিএসজির। ইএসপিএন
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে নতুন স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু
আসন্ন বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে যা বললেন শান্ত
হাথুরুর মূল লক্ষ্য গ্রুপ পর্ব পার হওয়া