ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলার বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ১১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও মেরামত না হওয়ায় শিক্ষাদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত করা হবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।
ভোলা জেলা শিক্ষা অফিসারের দেওয়া তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ভোলার ১১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ১০০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ৩৭টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১১টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১৮টি, লালমোহন উপজেলায় ১৯টি, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৭টি ও মনপুরা উপজেলায় ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, দক্ষিণ দিঘদী ইউনিয়নের মধ্য পশ্চিম বালিয়া দাখিল মাদরাসার শ্রেণিকক্ষগুলো হেলে পড়েছে। কয়েকটি স্থানে টিনের ছাউনি নেই।
মাদরাসার শিক্ষকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে মাদরাসাটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। টিনের ছাউনি না থাকায় বৃষ্টি ও রোদের তাপে বিধ্বস্ত শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অন্য শ্রেণিকক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত না করায় ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি অনেক কমে যাচ্ছে। এখানকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্র একই। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করে পাঠদানের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা শিক্ষা অফিসার দীপক হালদার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে মাদরাসা ও মাধ্যমিক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
বিপৎসীমার ওপরে মুহুরীর পানি, ফেনীর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত
বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত