November 15, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, July 2nd, 2024, 7:54 pm

মেহেরপুর সীমান্তে বাংলাদেশে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসার সময় বিএসএফের গুলিতে ভারতীয় নারী নিহত

৩০ বছর আগে ভারতে গিয়ে সেখানে নাগরিকত্ব নেন ইস্তাফন খাতুন (৬৪)। রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে মেহেরপুরের নবীনগর খালপাড়া সীমান্তের ১১৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে তারকাঁটা পার হয়ে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ভারতের নাটনা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি। পরে তার লাশ ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত ইস্তাফন খাতুনের বড় ভাই হাসেম আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বুড়িপোতা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্প কমান্ডার মন মোহন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি ভারতের অভ্যন্তরে ঘটেছে। তাই এ বিষয়ে বিএসএফ আমাদের কিছুই যানাইনি।

নিহত ইস্তাফন খাতুন মেহেরপুর সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের মৃত কোমর আলীর মেয়ে।

নিহত ইস্তাফন খাতুনের বড় ভাই হাসেম আলী, ৩০ বছর আগে আমার বোন ভারতে পারি জমান। ভারতের বিহারের একটি শহরে বাসিন্দা রহমত আলীর সঙ্গে বিয়ে করে বসবাস করে আসছিলেন। সে ওই দেশের নাগরিক হয়েছিলেন। কিছুদিন আগে তার স্বামী রহমত আলী মারা গেছেন।

তিনি আরও বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর সেখানে তার দেখা শুনার কেউ নেই। বাকি জীবনটা আমাদের পরিবারে সঙ্গে কাটানোর কথা তার। তারকাঁটা পার হওয়ার জন্য গত ৩ দিন সীমান্তের ওপারে ভারতের নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার নবীনগরে অবস্থান করছিলেন তিনি। রবিবার দিবাগত রাতে আমাদের সঙ্গে তার শেষ কথা হয় মুঠোফোনে। বলেছিলেন সুযোগ পেলেই তারকাঁটা পার হবেন।

তিনি আরও বলেন, মধ্যরাতে খবর পাই তারকাঁটা পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বাংলাদেশি ভেবে তাকে নাটনা বিএসএফ ক্যাম্পে সদস্যরা ভারতের অভ্যন্তরে গুলি করে হত্যা করেছে। পরে তার মরদেহ নদীয়া জেলার তেহট্ট থানার ৮৪নং বিএসএফ ব্যাটালিয়ন নাটনা ক্যাম্পে নিয়ে গেছে।

বোনের মৃত্যুর খবরে সীমান্তে ছুটে গিয়েও তার মৃত দেহের দেখা মেলেনি পরিবারের।

হাসেম আলী বলেন, ‘জীবনের শেষ সময়টুকু কাটাতে চেয়েছিলেন পরিবারে ভাই-বোনদের সঙ্গে। সে আশায় গত দেড় বছর ধরে চেষ্টা করেও আসতে পারেননি নিজ দেশে।’

বুড়িপোতা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মন মোহন বলেন, খালপাড়া সীমান্তে নিহতের ঘটনা ভারতের অভ্যন্তরে ঘটেছে। এ বিষয়ে বিএসএফ আমাদের কিছু জানাইনি।

তিনি আরও বলেন, ‘নিহত নারীর জন্ম বাংলাদেশে, তার ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা সীমান্তবর্তী গ্রাম শালিকাতে বসবাস করেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের কাছে অবৈধভাবে আসতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে।’

—–ইউএনবি