November 22, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, July 30th, 2024, 7:38 pm

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমে তিস্তায় তীব্র ভাঙন

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমতে থাকায় তিস্তায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ৪০ কিলোমিটার নদীপথে ১০টি স্পটে ভাঙনের কারণে শত শত ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।

এরই মধ্যে রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ২০০ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।

রাজারহাটের ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক জানান, বন্যায় তার ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত তিন দিনে ইউনিয়নের খিতাব খাঁ বড় দরগা, বুড়ির হাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙনে ২০টি বাড়ির বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। সেই সঙ্গে বড় দরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।

উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম জানান, তিস্তার ভাঙনে তার ইউনিয়নের চর বিদ্যানন্দ, তৈয়ব খাঁ এলাকার ১৩টি বাড়ির বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনও নদী ভাঙন চলছে।

উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বলেন, তার ইউনিয়নের কর্পূরা সরদার পাড়া এলাকার ৭টি বসতভিটা ভেঙে নদীতে তলিয়ে গেছে।

একই উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, তার ইউনিয়নের চর গোরাইপিয়ার, চর জুয়ান সুতরা, নগরপাড়া, পশ্চিম কিশোরপুর, বামনপাড়ায় ৪৫টি পরিবারের বসতভিটা তিস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।

একই উপজেলার বজরা ইউনিয়নের অবস্থা সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত। তিস্তার ভাঙনে এই ইউনিয়নের সাদুয়া, দামারহাট, খামার দামারহাট, সাতা লস্কর, পশ্চিম বজরা, চর বজরা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন চলছে। এরই মধ্যে ১০০ পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, ‘আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আবেদন পেলে এক থেকে দুই বান্ডিল ঢেউটিন সরবরাহ করে থাকি। বর্তমানে আমাদের কাছে কোনো বরাদ্দ নেই। আগস্টে বরাদ্দ পেলে সহযোগিতা করা যাবে।’

কুড়িগ্রাম পাউবোর নিবার্হী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘কুড়িগ্রামে ১০টি স্পটে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।’

—–ইউএনবি