November 23, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, May 17th, 2021, 8:54 pm

কোয়ারেন্টিনে থাকা তরুণী ধর্ষণ, এএসআই গ্রেপ্তার

ফাইল ফটো

জেলা প্রতিনিধি, খুলনা :

ভারত থেকে ফিরে খুলনা শহরে কোয়ারেন্টিনে থাকা এক তরুণীকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শককের (এএসআই) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলার পর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

অভিযুক্ত মোখলেছুর রহমান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কোর্ট সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত। তিনি খুলনার প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ১ মে থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই পিটিআইয়েই ভারত ফেরত তরুণীটি ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। যিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে মামলা করেছেন।

খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম জানান, ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে সোমবার খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পর এএসআই মোকলেছুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভাগীয় ও ফৌজদারি উভয় দিক দিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, ওই তরুণীর বাড়ি শহরেই। ৪ মে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন। তাকে খুলনা পিটিআই সেন্টারে ১৪ দিনের প্রাতষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কোয়ারেন্টিন চলাকালে এএসআই মোখলেছুরের সঙ্গে তার পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে ১৪ মে মোখলেছুর তাকে ধর্ষণ করেন।

খুলনা পিটিআইয়ের তত্ত্বাবধায়ক এবং কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দা ফেরদৌসী গণমাধ্যমকে বলেন, ভারত থেকে আসা নারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য পিটিআইয়ের মেয়েদের হোস্টেলের দ্বিতীয় তলা ব্যবহার করছে জেলা প্রশাসন। এ পর্যন্ত ১৪ জন নারীকে সেখানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ১০ জন কোয়ারেন্টিনে শেষ করে চলে গেছেন। তবে ধর্ষণের ওই অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানিয়েছেন, ওই নারীর কোয়ারেন্টিনের সময় এখনো শেষ হয়নি। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর পুলিশ এবং জেলা প্রশাসন তদন্ত করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলীর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নানা আইনি প্রয়োজনে তাকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে বের করে আবার ওই কেন্দ্রেই রাখা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে যে প্রতিবেদন তিনি পেয়েছেন, তাতে ওই ঘটনা সত্য বলেই তারা জেনেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন কাল মঙ্গলবারের মধ্যে পাওয়া যাবে।