November 21, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, August 16th, 2024, 4:57 pm

সিকৃবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন সিকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

‘ফ্যাসিস্ট ও স্বার্থান্বেষী’ আখ্যা দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সিকৃবির শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী কমিটিকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা দেন।

সিকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ফেসবুক ওয়ালে এই ঘোষণা দেন।

গত ৪ আগস্ট সিকৃবির বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হলেও, শিক্ষার্থীরা তখন থেকেই দাবি করতে থাকেন, এটি স্বঘোষিত কমিটি। যার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে সিকৃবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক দাবি করা কৃষি অনুষদের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল হক বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আসলে বোঝা উচিত তারা কাদের কথায় বা প্ররোচনায় এমন করছেন। সারাদেশের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও যারা আওয়ামী স্বৈরাচারী ছিলেন, তারাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরাও এর পেছনে জড়িত। এসব স্বৈরাচারীরা আবারও আমাদের আগের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞাকে চাচ্ছেন। যেন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য আবারও চালু হয়। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাব, তারা যাই করুক যেন বুঝেশুনে করে। কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে যেন কিছু না করে।’

এই কমিটিতে থাকা ভেটেরিনারি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সমন্বয়ক মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘সরকার পতনের কয়েকদিন আগে সিকৃবির একটি গ্রুপে সমন্বয়ক চেয়ে লিংক দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে আমি নাম দিই। আন্দোলন শেষ হওয়ার পর সমন্বয়কদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। আমার বন্ধুরা জানায়, এই তালিকার কয়েকজন বিভিন্ন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। তাই গত ৭ আগস্ট আমি পদত্যাগ করি।’

এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বায়োটেকনোলজি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তাসনিম সাকিব বলেন, ‘সমন্বয়কদের নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, তখন তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার পরিবর্তে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আলাদা তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বিবেচনা করছেন। যেখানে তাদের আসল কাজই হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সমন্বয় করা। আর তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে যেটি করার চেষ্টা করছেন, সেই কাজটিই এক ধরনের বৈষম্য। যা এই সম্পূর্ণ আন্দোলনের আদর্শের পরিপন্থী।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশ্ন আর ধোঁয়াশা রেখে কোনো গোষ্ঠী যদি নিজেদের সমন্বয়ক দাবি করে তাদের মতামতকে সর্বেসর্বা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে তাদের সচেতন শিক্ষার্থীরা বর্জন করবেই এবং হচ্ছেও তাই।’

কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল আহমেদ অয়ন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে একটি স্বঘোষিত সমন্বয়ক কমিটি দেখা গেলেও আন্দোলনের সময় কোনো সমন্বয়কের কার্যক্রম লক্ষ করা যায়নি। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বর্তমান কার্যক্রমকে ব্যক্তিস্বার্থ, নিজস্ব রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন ও উদ্দেশ্যমূলক মনে করে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ স্বার্থান্বেষী সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।

—–ইউএনবি