শুক্রবার দেইর আল বালাহ ও খান ইউনিসের কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। এ আদেশের পর গাজার মানবিক নিরাপত্তা এলাকা কমিয়ে মাত্র ১১ শতাংশ অবশিষ্ট রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) কার্যালয় জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় খান ইউনিসের আল মাওয়াসিতে ইসরায়েল নির্ধারিত মানবিক অঞ্চলের মধ্যে দুটি ব্লক সহ ছয়টি ব্লক খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। ১২০টিরও বেশি বাস্তুচ্যুত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে আনুমানিক ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বসবাস করছে।
ওই কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ‘আগের খালি করার আদেশের পরে অনেকেই সম্প্রতি এই অঞ্চলে পৌঁছেছিলন। আজকের (শুক্রবার) খালি করার আদেশে উদ্বিগ্ন বাস্তুচ্যুতরা।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ওসিএইচএ ওই অঞ্চলে একটি ছোট দল পাঠিয়েছিল এবং তারা হাজার হাজার লোককে সরে যেতে দেখেছিল। তাদের মধ্যে অনেক শিশু ও নারী ছিল। তারা সুস্পষ্ট গন্তব্য ছাড়াই দেইর আল বালাহর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল।’
ওসিএইচএ জানায়, ‘মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকায় তাড়াহুড়ো করে চলে যেতে হয়েছিল।’
অফিস জানায়, নতুন আদেশটি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির একটি গুদামসহ মানবিক সুবিধাগুলোকেও প্রভাবিত করেছে। গাজায় সংরক্ষণ সক্ষমতার একটি বড় ঘাটতি রযেছে। এটি সহায়তা গ্রহণ এবং পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রভাবিত করেছে।
ওসিএইচএ জানায়, চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী খান ইউনিস এবং গাজার উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার আটটি আদেশ জারি করেছে। জেরি ক্যান ও শ্যাম্পুর মতো তাঁবু ও স্বাস্থ্যবিধি সরবরাহসহ আশ্রয়ের ঘাটতি এবং আগমনের স্থানগুলোতে প্রয়োজনীয় পরিষেবা সীমিত হওয়ায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
শুক্রবারও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পোলিও ভাইরাস বিরোধী প্রচারণার জন্য গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘ শিশু তহবিল এই মাসের শেষের দিকে বা সেপ্টেম্বরে দুই দফা প্রচারাভিযানের পরিকল্পনা করেছে। প্রায় এক মাস আগে গাজার বর্জ্য পানিতে পোলিও ভাইরাস শনাক্ত হয়।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২