নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ থেকে হিমায়িত চিংড়ির রফতানি পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে কমে যাচ্ছে। এক যুগ আগে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে, বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে প্রায় ৫০ হাজার টন চিংড়ি রফতানি করেছিল। তবে গত অর্থবছরে তা নেমে এসেছে মাত্র ২৪ হাজার টনে। রফতানি আয়ও ৫৭ কোটি ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ কোটি ডলারে।
বিশ্ববাজারে চিংড়ির চাহিদা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়ায়, গত অর্থবছরের শুরুতে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছিল। তথাপি, অর্থবছরের শেষে সেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ) এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা দুই যুগ আগে চিংড়ি রফতানিতে আগ্রহী হন, তবে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর চিংড়ির দাম কমে যায়। পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং দেশে উৎপাদিত বাগদা চিংড়ির চাহিদা কমতে থাকে। কাঁচামালের সংকট ও চাষের জমির অভাবে চিংড়ি রফতানি আরও কমে গেছে, যার ফলে অনেক প্রক্রিয়াকরণ কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
২০১২-১৩ সালে ৫০ হাজার টন চিংড়ি রফতানির বাজারমূল্য ছিল ৫৭ কোটি ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নেমে এসেছে ২৪ হাজার টনে এবং ২৪ কোটি ডলারে। বিগত এক যুগে রফতানি পরিমাণ প্রায় ৫২ শতাংশ কমেছে।
হিমায়িত চিংড়ি রফতানিকারকরা জানাচ্ছেন, ভেনামি জাতের চিংড়ি উৎপাদন না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বাজার হারাচ্ছেন। মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন কক্সবাজারের চকরিয়া-রামপুরা মৌজায় প্রায় ৭ হাজার একর চিংড়ি চাষের জমি অনাবাদি রয়েছে, যা চিংড়ি উৎপাদনে সহায়ক হতে পারে।
এদিকে, এমইউ সি ফুডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্যামল দাস জানান, বিশ্বে ৮০-৮২ শতাংশ চিংড়ির রফতানি ভেনামি চিংড়ির, কিন্তু বাংলাদেশে ২০ শতাংশেরও কম বাগদা চিংড়ি উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বৃহৎ উদ্যোক্তাদের চিংড়ি চাষে অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম