অনলাইন ডেস্ক :
আরও একটি আন্তঃকোরিয়ান শীর্ষ বৈঠক নিয়ে নিজেদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং।তবে সম্মান এবং নিরপেক্ষতার মনোভাব নিশ্চিত করা গেলেই কেবল এই বৈঠক সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। শনিবার এমন বিবৃতি দেয়া হয়। গত দুই দিনের মধ্যে কিম ইয়ো জংয়ের এটি দ্বিতীয় বিবৃতি। কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবদেনে এমনটি বলা হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিম ইয়ো জং বলেছেন,’একে অপরের প্রতি সম্মান এবং নিরপেক্ষতার মনোভাব নিশ্চিত করা গেলে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে একটি আস্থার অবস্থান তৈরি হতে পারে বলে আমি মনে করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা দেয়ার জন্য একটি আলোচনা বা শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করা যেতে পারে।’ এর আগে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার আহ্বান জানানোর পর শুক্রবার সিউলকে কিম ইয়ো জং পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি বৈরী নীতি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ১৯৫০-৫৩ সালে কোরিয়ান যুদ্ধ একটি যুদ্ধবিরতি দিয়ে শেষ হয়েছিল, কোন শান্তি চুক্তি দিয়ে এটি শেষ হয়নি। সেই হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী টেকনিক্যালি এখনও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের অবসানের জন্য পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে বারবার দাবি উঠলেও উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ না করলে সেই দাবি মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপিত উন্নত প্রযুক্তির একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (এসএলবিএম) সফল পরীক্ষা চালায়। এর আগে, চলতি মাসেই উত্তর কোরিয়াও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল, যার মধ্যে একটি ছিল দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। উল্লেখ্য, শর্তে ঐক্যমতে পোঁছাতে না পারায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যকার দ্বিতীয় মার্কিন-উত্তর কোরিয়া শীর্ষ সম্মেলন ব্যর্থ হলে দুই কোরিয়ার মধ্যে আবারও যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু