অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রায় দুই মাস ধরে কঠোর লকডাউন সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেলবোর্নে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। মেলবোর্ন যে রাজ্যের রাজধানী সেই ভিক্টোরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নগরীটিতে ১৪৩৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন এসব সংক্রমণের একটি বড় অংশ জনপ্রিয় এক স্পোর্টিং ইভেন্টকে কেন্দ্র করে কঠোর লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে হওয়া অবৈধ জমায়েত থেকে ছড়িয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, গত শনিবার টেলিভিশনে অস্ট্রেলিয়ার রুলস ফুটবলের গ্রান্ড ফাইনাল দেখার জন্য আয়োজিত হোম পার্টিগুলো থেকে প্রায় এক তৃতীয়াংশ সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে ভিক্টোরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ বলেন, “এগুলোর অনেকগুলোই পুরোপুরি এড়ানো যেত। আমি কাউকে দোষ দেওয়ার চেষ্টা করছি না, আমি শুধু ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি কারণ অনেকেই মাথা চুলকে বলবেন, এত তাড়াতাড়ি এত লোক আক্রান্ত হলো কীভাবে।” করোনাভাইরাসে ডেল্ট ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার ঠেকাতে নেওয়ার কঠোর পদক্ষেপের মধ্যেও এত লোকের আক্রান্ত হওয়াকে ‘বড় ধরনের ধাক্কা’ বলে মানছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা। বুধবার ৯৫০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হলেও একদিন পরই ৫০ শতাংশ রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যটির ৫৫ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১৬ বছর উর্ধ্ব অর্ধেক লোক করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলায় অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনি, মেলবোর্ন ও রাজধানী ক্যানবেরা সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে লকডাউনে আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোভিড-জিরো কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষগুলো আর লকাডাউন থেকে থেকে বের হওয়ার কৌশল হিসেবে টিকা কর্মসূচি বিস্তারের ওপর জোর দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে নতুন ৯৮১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের অধিকাংশই রাজ্যের রাজধানী সিডনির বাসিন্দা। একই সময় কুইন্সল্যান্ডে ছয় ও অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী অঞ্চলে ৩১ জন রোগী শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু