যে ফুল কয়েক বছর পর না স্বল্প সময়ের জন্য একবার ফোটে, সেই ফুল নিয়ে কৌতুহল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ‘নাইট কুইন’ বা ‘নিশিপদ্ম’।
মিষ্টি মনোহরিণী সুবাস, সাদা রং, স্নিগ্ধ ও পবিত্র আর সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে এই ফুল পরিচিত। রাতের আঁধারে নিজের সৌন্দর্য মেলে ধরে সকাল হওয়ার আগেই মিলিয়ে যায়। আর এই একটি ফুলের জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের দেশে নাইট কুইনকে দুর্লভ প্রজাতির ফুল হিসেবেই গণ্য করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে এই দুর্লভ নাইট কুইন ফুলের দেখা মিলেছে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর পাইলট মোড় সংলগ্ন অ্যাডভোকেট রওশন আরা বেগমের বাড়ির ছাদবাগনে।
রওশন আরা পেশায় একজন আইনজীবী। অধিকাংশ সময় তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। জাতীয় মহিলা সংস্থা শরীয়তপুর জেলার চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এতো ব্যস্ততার পরেও তিনি ভীষণ সৌখিন একজন মানুষ। তার সখ হলো বাগান করা। তার বাড়ির সেই বাগানেই ওই নাইট কুইন ফুলের দেখা মেলে।
অ্যাডভোকেট রওশন আরা জানান, এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ত্রিশ বছর আগে খুলনা থেকে দুটি পাতাওয়ালা গাছের চারা এনেছিলেন। বাসার ছাদে টবে লাগিয়ে দীর্ঘদিন পরিচর্যা করেছেন। প্রায় সাত বছর অপেক্ষার পর প্রথম গাছে ফোটে বহুদিনের কাঙ্খিত নাইট কুইন ফুল। এরপর দু’চার বছর পর পর গাছে ফুল ফুটেছে। তার গাছ থেকে অনেক মানুষকে তিনি চারা দিয়েছেন গাছ লাগানোর জন্য। এখন এই গাছের বয়স প্রায় ত্রিশ বছর পার হয়ে গিয়েছে।
ফুল ফোটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গাছ লাগানোর প্রায় সাত বছর পর প্রথম ফুল ফুটেছিল। ফুল ফুটলে ফুলগুলোকে ঘিরে ঘরে এক রকমের উৎসবের আমেজ আসে। আত্মীয় স্বজন ও আশপাশের মানুষজন ফুল দেখতে আসে। ফুলের গন্ধে পুরো ঘর সুবাসিত হয়ে যায়। যতবার ফুল ফোটে প্রতিবারই ফুলের ছবি তুলে রাখা হয়।
দূর থেকে আসা রওশন আরার এক আত্মীয় বলেন, ‘আমি এই নাইট কুইন ফুলের গল্প শুনেছি। কিন্তু কখনো দেখার সুযোগ হয়নি। রাতে শোনামাত্রই আমি এই নাইট কুইন দেখতে এসেছি। অনেক ভালো লাগলো ফুলটি দেখে।’
–ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি