নিজস্ব প্রতিবেদক:
আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক বিথী আক্তার ও তার স্বামী পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ)। চিঠিতে প্রত্যেকের বিস্তারিত ঠিকানার পাশাপাশি জন্ম তারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। গত রোববার ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে ১১ অক্টোবরের মধ্যে লেনদেনের যাবতীয় তথ্য দিতে বলেছে বিএফআইইউ। চিঠিতে বিথী আক্তারকে ই-অরেঞ্জের মালিক উল্লেখ করে পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানার স্ত্রী হিসেবে মোমেনা আক্তার মাসুমা ও নাজমা সুলতানা প্রিয়া নামের আরও দুই নারীর নামও রয়েছে। এই দুই নারীর ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্য চাওয়ার চাওয়ার তালিকায়, সোনিয়া মেহজাবিনের নামও রয়েছে। বিএফআইইউ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব (ইসলামী ব্যাংকিংসহ) অতীতে বা বর্তমানে পরিচালিত হয়ে থাকলে সে সকল হিসাবের যাবতীয় তথ্য (যাবতীয় কাগজপত্রাদিসহ হিসাব খোলার আবেদন ফর্ম, কেওয়াইসি, ট্রানজেকশন প্রোফাইল,শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী) সংশ্লিষ্ট সব ধরনের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। তাদের নামে কোনো ফিক্সড ডিপোজিট, ঋণ হিসাব, এলসি খোলা হলে সে তথ্যও দিতে হবে। এসব হিসাবের নমিনির তথ্য ও নমিনিদের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হলে সেগুলোরও বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ। ২০০৭ সালে যাত্রা শুরু করা ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কারাগারে আছেন ই-অরেঞ্জের স্বত্বাধিকারী সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান। সোনিয়া মেহজাবিনের ভাই পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাকেও একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। সম্প্রতি তিনি ভারতে পালানোর সময় বিএসএফএর হাতে আটক হয়েছেন।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম
সম্পদের অপচয় ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অটোমেটেড সরকারি আর্থিক সেবা